রাজনৈতিক প্রস্তাব

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালে আগের রাতেই নজিরবিহীন ভোটডাকাতির মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে কেড়ে নিয়েছে তাদের নাগরিকত্বের মর্যাদা। একব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে গিলে খেয়ে আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত করেছে এবং রাষ্ট্র-সরকার- দল সব একাকার হয়ে এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতার অধীনস্ত হয়েছে। রাষ্ট্র থেকে রাজনীতি নির্বাসিত হয়ে তা অধীনস্ত হয়েছে এক আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্বের। গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, হয়রানি, জেল-জুলুমের মাধ্যমে বিরোধিতাকে দমন করা হচ্ছে। মানুষের জান-জবানের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ফায়দা ও ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক হামলা ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে নিপীড়িত মানুষের জীবনকে করে তোলা হচ্ছে আরো নিরাপত্তাহীন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে মানুষ সমালোচনা করতেও এখন ভয় পায়। নজরদারি এমন চূড়ান্ত আকার নিয়েছে যে প্রত্যেক নাগরিকই আজ ভীত সন্ত্রস্ত। আর গোটা জনগণকে এরকম পরিস্থিতিতে রেখে গুটিকতক লুটেরাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দোহাই দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন ও উন্নয়নের প্রভাবে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে নির্বিচারে, ব্যাংক লোপাট হচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি এবং চাল-ডাল ভোজ্যতেলসহ নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। একদিকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে অন্যদিকে নতুন নতুন কোটিপতি তৈরি হচ্ছে। সারা দেশের প্রাত্যহিক বাস্তবতা এখন দিনে-দুপুরে যেখানে-সেখানে মানুষ খুন হয়ে যায়, নারীরা ধর্ষিত হয়, লাঞ্ছিত হয় ঘরে-বাইরে, কিন্তু পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে পায় না। শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম, শিক্ষার মানের দিক বিবেচনা করলে যা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। কোভিড ১৯ সংক্রমণ শুরু হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম, নৈরাজ্য, লুটপাটের দৌরাত্ম্য জনসম্মুখে নগ্নভাবে উন্মুক্ত হয়। সব মিলিয়ে এই দেশটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার পুরো কাঠামোটাই আজ ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত। এইভাবে একদিকে ফ্যাসিবাদী দৌরাত্ম্যে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রান্তিক কিংবা প্রায় নাই করে ফেলার পরিণতিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে নৈরাজ্য, বিভাজন ও একে কেন্দ্র করে নানা উগ্রতার জমিন।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালে আগের রাতেই নজিরবিহীন ভোটডাকাতির মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে কেড়ে নিয়েছে তাদের নাগরিকত্বের মর্যাদা। একব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে গিলে খেয়ে আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত করেছে এবং রাষ্ট্র-সরকার- দল সব একাকার হয়ে এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতার অধীনস্ত হয়েছে। রাষ্ট্র থেকে রাজনীতি নির্বাসিত হয়ে তা অধীনস্ত হয়েছে এক আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্বের। গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, হয়রানি, জেল-জুলুমের মাধ্যমে বিরোধিতাকে দমন করা হচ্ছে। মানুষের জান-জবানের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ফায়দা ও ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক হামলা ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে নিপীড়িত মানুষের জীবনকে করে তোলা হচ্ছে আরো নিরাপত্তাহীন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে মানুষ সমালোচনা করতেও এখন ভয় পায়। নজরদারি এমন চূড়ান্ত আকার নিয়েছে যে প্রত্যেক নাগরিকই আজ ভীত সন্ত্রস্ত। আর গোটা জনগণকে এরকম পরিস্থিতিতে রেখে গুটিকতক লুটেরাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দোহাই দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন ও উন্নয়নের প্রভাবে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে নির্বিচারে, ব্যাংক লোপাট হচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি এবং চাল-ডাল ভোজ্যতেলসহ নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। একদিকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে অন্যদিকে নতুন নতুন কোটিপতি তৈরি হচ্ছে। সারা দেশের প্রাত্যহিক বাস্তবতা এখন দিনে-দুপুরে যেখানে-সেখানে মানুষ খুন হয়ে যায়, নারীরা ধর্ষিত হয়, লাঞ্ছিত হয় ঘরে-বাইরে, কিন্তু পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে পায় না। শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম, শিক্ষার মানের দিক বিবেচনা করলে যা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। কোভিড ১৯ সংক্রমণ শুরু হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম, নৈরাজ্য, লুটপাটের দৌরাত্ম্য জনসম্মুখে নগ্নভাবে উন্মুক্ত হয়। সব মিলিয়ে এই দেশটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার পুরো কাঠামোটাই আজ ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত। এইভাবে একদিকে ফ্যাসিবাদী দৌরাত্ম্যে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রান্তিক কিংবা প্রায় নাই করে ফেলার পরিণতিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে নৈরাজ্য, বিভাজন ও একে কেন্দ্র করে নানা উগ্রতার জমিন।