Privacy policy | customer support | FAQ
বাংলাদেশের রূপরেখা
২০১৫ সালের ২৭-২৯ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত গণসংহতি আন্দোলনের ৩য় জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে উত্থাপিত ১৫ দফা কর্মসূচি অর্থাৎ গণসংহতি আন্দোলনের প্রস্তাবিত ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখাটি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নানা সংযোজন-সংশোধনসহ আকারে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে এটা ৪র্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আরোও সংযোজন-সংশোধনসহ চূড়ান্ত খসড়া আকারে গৃহীত হয়। এই রূপরেখাটি জনগণের বিভিন্ন স্তরের মতামতের ভিত্তিতে আরো সমৃদ্ধ করে একটি জাতীয় রূপরেখা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। রূপরেখাটি এখান থেকে পড়ুন এবং সক্রিয়ভাবে মতামত প্রদান করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখুন।
গণসংহতি আন্দোলন ২৯ আগষ্ট ২০০২ গঠিত হয়েছিল জনগণের মুক্তি সংগ্রামে বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিসমষ্টির মধ্যে সংহতি গড়ে তোলার মঞ্চ হিসেবে গড়ে উঠেছিলো। গণসংহতি আন্দোলন’র এই ঘোষণাপত্রটি ইতিহাসের আলোকে এই জনপদের মানুষের অধিকার ও মর্যাদার সংগ্রামের একটি নতুন দিশা হাজির করার প্রত্যয়ে রচিত হয়েছিল। এটি বিদ্যমান শোষণমূলক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক, সাম্যভিত্তিক, এবং অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে পরিমার্জিত হয়ে বর্তমান রুপটি গৃহীত হয়েছিলো।
এই জনপদের মানুষ হাজার বছর ধরে সংগ্রাম করছেন তাঁর অধিকারের জন্য, একটা ন্যায্য ব্যবস্থার জন্য, জীবনের অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য। এই সংগ্রাম কখনো রূপ নিয়েছে ধর্ম সংস্কার আন্দোলনে, কখনো জাত-পাত বিরোধী লড়াইয়ে, কখনো বিদেশী দখলদারদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে, কখনো জমিদার মহাজন বিরোধী লড়াইয়ে, স্বাধীনতা আন্দোলনে, ভাষা-সংস্কৃতির লড়াইয়ে বা স্বাধিকার স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রামে। এসবেরই ধারাবাহিকতায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ১৯৭১ সালে এদেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। বহু লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই লড়াইয়ের ফলে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। কিন্তু রাষ্ট্র পত্তনের পর থেকেই শুরু হয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে মুক্তিযুদ্ধের যে ঘোষণা তার বিপরীতে রাষ্ট্র পরিচালনা। তারই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশে এখনও চলছে। পরিণতিতে বর্তমান বাংলাদেশ এক দীর্ঘমেয়াদী স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভেতরে হাঁসফাস করছে। একটি একক ব্যক্তিকেন্দ্রীক ক্ষমতা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে গিলে খেয়ে আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত করেছে। রাষ্ট্র-সরকার-দল সব একাকার হয়ে এই ব্যক্তিকেন্দ্রীক ক্ষমতার অধীনস্ত হয়েছে। রাষ্ট্র থেকে রাজনীতি নির্বাসিত হয়ে তা অধিনস্ত হয়েছে এক আমলাতন্ত্রিক কর্তৃত্বের । পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে মানুষ সমালোচনা করতেও এখন ভয় পায়। গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, হয়রানি, জেল-জুলুমের মাধ্যমে বিরোধিতাকে দমন করা হয়। নাগরিক নজরদারি এমন চুড়ান্ত আকার নিয়েছে যে- প্রত্যেক নাগরিকই আজ ভীত সন্ত্রস্ত। আর গোটা জনগণকে এরকম পরিস্থিতে রেখে গুটিকতক লুটেরাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য। এমনকি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে প্রকারান্তরে তাদের নাগরিকত্বের মর্যাদা কেড়ে নেয়া হয়েছে। মানুষের জান-জবানের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দোহায় দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন ও শিল্পায়নের প্রভাবে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে নির্বিচারে, ব্যাংক লোপাট হচ্ছে, নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে, একদিকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে অন্যদিকে নতুন নতুন কোটিপতি তৈরি হচ্ছে, দিনে-দপুরে যেখানে-সেখানে মানুষ খুন হয়ে যায়, নারীরা ধর্ষিত হয়- ঘরেবাইরে লাঞ্ছিত হয়, পুলিশ অপরাধীদের খুজে পায় না। শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে; যা ধ্বংসের দারপ্রান্তে,কোভিড ১৯ সংক্রমণ শুরু হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলা লুটপাটের দৌরাত্ম জনসম্মুখে নগ্নভাবে উন্মুক্ত হয়। সব মিলিয়ে এই দেশটা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার পুরো কাঠামোটাই আজ ভেঙে পড়েছে।
এই জনপদের মানুষ হাজার বছর ধরে সংগ্রাম করছেন তাঁর অধিকারের জন্য, একটা ন্যায্য ব্যবস্থার জন্য, জীবনের অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য। এই সংগ্রাম কখনো রূপ নিয়েছে ধর্ম সংস্কার আন্দোলনে, কখনো জাত-পাত বিরোধী লড়াইয়ে, কখনো বিদেশী দখলদারদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে, কখনো জমিদার মহাজন বিরোধী লড়াইয়ে, স্বাধীনতা আন্দোলনে, ভাষা-সংস্কৃতির লড়াইয়ে বা স্বাধিকার স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রামে। এসবেরই ধারাবাহিকতায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ১৯৭১ সালে এদেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। বহু লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই লড়াইয়ের ফলে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। কিন্তু রাষ্ট্র পত্তনের পর থেকেই শুরু হয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে মুক্তিযুদ্ধের যে ঘোষণা তার বিপরীতে রাষ্ট্র পরিচালনা। তারই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশে এখনও চলছে। পরিণতিতে বর্তমান বাংলাদেশ এক দীর্ঘমেয়াদী স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভেতরে হাঁসফাস করছে। একটি একক ব্যক্তিকেন্দ্রীক ক্ষমতা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে গিলে খেয়ে আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত করেছে। রাষ্ট্র-সরকার-দল সব একাকার হয়ে এই ব্যক্তিকেন্দ্রীক ক্ষমতার অধীনস্ত হয়েছে। রাষ্ট্র থেকে রাজনীতি নির্বাসিত হয়ে তা অধিনস্ত হয়েছে এক আমলাতন্ত্রিক কর্তৃত্বের । পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে মানুষ সমালোচনা করতেও এখন ভয় পায়। গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, হয়রানি, জেল-জুলুমের মাধ্যমে বিরোধিতাকে দমন করা হয়। নাগরিক নজরদারি এমন চুড়ান্ত আকার নিয়েছে যে- প্রত্যেক নাগরিকই আজ ভীত সন্ত্রস্ত। আর গোটা জনগণকে এরকম পরিস্থিতে রেখে গুটিকতক লুটেরাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য। এমনকি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে প্রকারান্তরে তাদের নাগরিকত্বের মর্যাদা কেড়ে নেয়া হয়েছে। মানুষের জান-জবানের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দোহায় দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন ও শিল্পায়নের প্রভাবে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে নির্বিচারে, ব্যাংক লোপাট হচ্ছে, নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে, একদিকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে অন্যদিকে নতুন নতুন কোটিপতি তৈরি হচ্ছে, দিনে-দপুরে যেখানে-সেখানে মানুষ খুন হয়ে যায়, নারীরা ধর্ষিত হয়- ঘরেবাইরে লাঞ্ছিত হয়, পুলিশ অপরাধীদের খুজে পায় না। শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে; যা ধ্বংসের দারপ্রান্তে,কোভিড ১৯ সংক্রমণ শুরু হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলা লুটপাটের দৌরাত্ম জনসম্মুখে নগ্নভাবে উন্মুক্ত হয়। সব মিলিয়ে এই দেশটা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার পুরো কাঠামোটাই আজ ভেঙে পড়েছে।