প্রেসবিজ্ঞপ্তি
ঊনসত্তরের ৫২তম বার্ষিকীতে
৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের ৫২ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৪ সংগঠনের
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
আজ ২৪ জানুয়ারী ২০২১, রবিবার, বিকাল ৩টায় উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এর ৫২ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র-যুবক-শ্রমিক অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ এবং রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের আরমান হোসাইন, আব্দুর রহমান; যুব অধিকার পরিষদের মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, তারেক রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের রাশেদ খাঁন, ছাত্র ফেডারেশনের গোলাম মুস্তফা, শ্রমিক ফেডারেশনের বাচ্চু ভূঁইয়া, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ভাষানী অনুসারী পরিষদের সহসভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, রাখাল রাহা, এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।
নুরুল হক নুর বলেন, আজকে এতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় মিডিয়ার উপস্থিতি খুবই কম। এমন হাজারো রাষ্ট্রীয় বাধা অতিক্রম করে আমাদের মানুষের কাছে তাদের মুক্তির বার্তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা ৪ সংগঠন সে লক্ষে কাজ করে যাবো।
হাসনাত কাইয়ূম তাঁর বক্তব্যে মানুষের মুক্তির একটি নতুন দফা প্রণয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন লাহোর প্রস্তাাবের মতো, ৬ দফার মতো এমন একটি মানুষের মুক্তির বার্তা যদি আমরা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারি, কোনো শক্তিই আর রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনকে দমায়ে রাখতে পারবে না।
জোনায়েদ সাকী বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মুল সংগঠক। এ অভ্যুত্থানে কেবল ছাত্ররা ছিলেন না, শ্রমিক – কৃষকরাও অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। আজ আমাদের তেমনি ছাত্র- শ্রমিক- কৃষক সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বৃহত্তর ঐক্য দরকার। তাহলে রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনকে কেউ রুখতে পারবে না।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দায়িত্ব পুরোপুরি সম্পন্ন করতে পারিনি। আজ তাই প্রতিজ্ঞা করছি, আমার বাকী জীবনের পুরোটা সময় আপনাদের সাথে রাজপথের সংগ্রামে থাকবো।
সভাপতির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বাবলু ৪ সংগঠনের পক্ষে বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জনগণের রাষ্ট্র গড়ার অসমাপ্ত দায়িত্বটি সম্পন্ন করার জন্যে আমরা নতুন লড়াই শুরু করতে চাই। এ লড়াইকে এগিয়ে নেয়ার জন্যে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা বছরব্যাপী রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাÐ পরিচালনা করতে চাই। এ লক্ষ্যে আমরা মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, ব্যক্তি, গণসংগঠন, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে একটি জাতীয় উদ্যোগ নিতে চাই। এই উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করি। একটি সংবাদ সম্মেলন করে আমরা বিস্তারিত উপস্থাপন করবো।’
বার্তা প্রেরক
—
গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র-যুবক-শ্রমিক অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ এবং রাষ্ট্রচিন্তা