বিনা চিকিৎসায় আর একটিও মৃত্যু নয়, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের গ্রেফতার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের দাবিতে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. জগলুল হায়দার আফ্রিক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক ফরিদুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল হক নুর।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরুদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সংগঠক আলিফ দেওয়ান, ইমরাদ জুলকারনাইন, সৈকত মল্লিক, রনজিৎ রিংকু, আবদুল আলিম ও বেলায়েত সিকদার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, মিরপুর জোনের আহ্বায়ক মাহবুব রতন, মোহাম্মদপুর জোনের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, আইনুল হক সহ আরোও অনেক নেতাকর্মী।
কর্মসূচি পালন কালে নেতা কর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, করোনা বংলাদেশে সংক্রমিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের জীবন রক্ষার চাইতে তাদের লুটপাটের দিকেই নজর বেশি ছিলো। চরম অযোগ্য ও দুর্নীতি সিন্ডিকেটের প্রশ্রয় দাতা স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি এতোকিছু করার পরেও তাদের স্বপদে বহাল আছে এবং গলা উঁচু করে তাদের কুকির্তীর দায় একজন আর একজনের ওপর চাপাচ্ছে। এতো কিছুর পরেও যদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে অপসারণ না করা হয় তাহলে তার দায় নিতে হবে প্রধানমন্ত্রীর নিজেরই।
তারা আরোও বলেন প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিক এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের এখনকার প্রধান কর্তব্য হলো জনসম্মতিহীন এই সরকারের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন গড়ে তোলা। তাঁরা গণসংহতি আন্দোলনকে এই অবস্থান কর্মসূচি নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং সকল গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জালিম সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।