বাংলাদেশে রস-শ্লেষ-স্যাটায়ারের কবর কবিরা দিয়েছেন নাকি বামপন্থী চিন্তাবিদেরা এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হতে পারি না। সত্যি কথা হলো, জাত ধরে ধরে বদনাম (বা সুনাম) করার লোক আমি নই। ফলে কবি কিংবা বামপন্থী কাউকেই সরলীকরণ করলাম না। বিশ্বাস করেন প্লিজ! একটা পেশা/পরিচয়ের মুখ্য প্রবণতাগুলোর লক্ষণযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য ধরে ঢিলাঢালাভাবে বললাম – কবি ও বামপন্থী। এঁদের মধ্যে যাঁরা বামপন্থী কবি, কিংবা সাধারণ জাতীয়তাবাদী বা দেশাত্মবোধক কবি হয়েও বামপন্থীদের লিফলেট পড়েন তাঁরা বিরল নন। অন্তঃপ্রবিষ্ট বা ওভারল্যাপিং তো থাকতেই পারে দুনিয়ায়। তো, কবি বা বামপন্থী উভয়েই কিন্তু যথেষ্ট হাসেন। আমি নিজের চোখে দেখেছি। তবে এটা ঠিকই যে প্রকাশ্য দুনিয়ায় হাসাহাসি করলে যতটা দুখী থাকলে কবিভাব জমে বলে কারো কারো মনে হয় সেই দুখিত্ব লোপ পায়। ফলে আমি তাঁদের কারো কারো বেজারমুখো জীবনযাপনে দোষ দিতে পারি না। ঠিক তেমনি, প্রকাশ্য বক্তৃতা ইত্যাদিতে বামপন্থী নেতাকর্মীরা রঙ্গরস করতে থাকলে শ্রোতাদর্শক হৃদয়ে বিপ্লবের ভাবগাম্ভীর্য বিষয়ে গুরুতর ভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। এমনকি সম্ভাব্য বিপ্লবকে তাঁরা হালকা-পলকা ভাবতে পারেন; ১৮ কোটি লোকের ভার নিতে অক্ষম সাব্যস্ত করে বসতে পারেন। সেজন্য বামপন্থী নেতাকর্মীদের পাবলিক গাম্ভীর্য বলবৎ রাখারও আমি নিন্দা করতে পারি না। বাড়িতেও তো গম্ভীর মামা বা চাচাকেই জ্ঞানী আত্মীয় হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়ে থাকে, সাধারণত। আর যেহেতু জ্ঞানের বাড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে সমাজ রূপান্তর ঘটবে বলে কেউ কেউ মনে করেন, তাঁদের জ্ঞানরূপ গদা অবশ্যই হাতে থাকা উচিত। আর সেই গদা দিয়ে ইচ্ছামতো সামনের লোকজনকে পিটানোও দরকার। এরকম জ্ঞানগদার পিটানি আর ‘চেতনা জাগ্রতকরণ বাণীমালা’ ঠিক রঙ্গতামাশার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে না তাও সত্য। তারপরও রঙ্গ-শ্লেষ-স্যাটায়ারের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আমার কভু কভু বেদনাভোদ জাগে।
এই ব্লগের অন্তত একজন পরিচালকের নিমন্ত্রণে কয়েকদিন আগে বিসিএস নিয়োগ বিষয়ে একখানা নিবন্ধ রচনার পর দিকে দিকে নানান প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সাইবার দুনিয়ায় আমার রচনাদির মধ্যে সব থেকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী রচনাগুলোর একটি হয়ে গেল সেটা। সকল প্রতিক্রিয়া আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হয়নি। কেউ জড়োও করেননি। তবে মোটের উপর আমি ধারণা করে নিয়েছি প্রতিক্রিয়াগুলোর বৈশিষ্ট্য। সমর্থনকারীদের নিয়ে কিছু বলার নেই। আচ্ছা সালাম জানাই। নিন্দামন্দকারীদেরও সালাম জানাই। যাঁরা আমাকে মূর্খ, অশিক্ষিত ইত্যাদি সাব্যস্ত করেছেন তাঁদেরকেও সালাম জানাই। খুব যে একটা দ্বিমত আছে আমার নিজের মূর্খতা নিয়ে তাও নয়। কিন্তু এখানে আমার মূর্খতা যে মূল প্রসঙ্গ নয়! মূল প্রসঙ্গ হলো রাজকর্মচারি বানাবার সুলভ, কার্যকরী, টিঁকসই, উন্নয়নমুখী, অনুগত, সর্বব্যাপ্ত, সুনিশ্চিত দক্ষ রাস্তাটি খোঁজা। এমন রাজকর্মচারি আমাদের চাই যাঁদের নাক যথাসম্ভব লম্বা হবে, এবং সেই নাক যখন-তখন প্রস্তুত থাকবে যাতে যে কোনো এলাকায় ঢুকিয়ে দেয়া যায়। (তবে ভাল হয় সামরিক এলাকায় না ঢোকালে; মানে তাঁদের মঙ্গলের কথা ভেবেই বলছি।) ফলে আমাকে গালমন্দ করুন, তবু প্লিজ এই মূল লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না যে কীভাবে আমরা দক্ষতম রাজকর্মচারি উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে পারি। তবে গালমন্দকারীরা যে রচনাটির সবটা পড়েননি, পড়লেও মনোযোগ দেননি, দিলেও সেই মনোযোগ বিষয়বস্তুর থেকে রচয়িতার দিকে বেশি ছিল তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।
আমার প্রিয় সম্পাদক আমাকে বলে থাকেন যে সাইবার দুনিয়ায় আমার ভাষারীতি ঝামেলাজনক। তিনি মনে করেন অনুচ্ছেদ ছোট হওয়া দরকার। আবার কেউ কেউ আছেন যাঁরা বকা দিতে থাকেন এই বলে যে সাইবার দুনিয়ায় রচনা দীর্ঘ হওয়া অনূচিত। আমি এসব থিউরি মানি না। তাছাড়া সাইবার “পাঠক”বৃন্দ কাকে যে দীর্ঘ বলেন তা ভেবে কিনারা করতে পারা যায় না। এখানে এমনকি শ’ তিনেক শব্দকেও কেউ কেউ বড় বলে বসেন। তবে তিন-চারশ’ শব্দের রচনাকে যাঁরা বড় বলেন তাঁদেরকে ঠিক সাইবার-পাঠক বলা ঠিক হবে না। তাঁরা হলেন মিনি-পর্দার সাইবার-পাঠক। অর্থাৎ তাঁরা মোবাইলের স্ক্রিনে রচনাপাঠ সম্পন্ন করেন। সেই অধিকার তাঁদের আছে। দৈর্ঘ্য পৃথিবীর অনেক জিনিসের মতোই আপেক্ষিক বিষয়। ফলে মিনিপাঠক সেই স্ক্রিনের মাপের প্রেক্ষিতে রচনাকে বড় সাব্যস্ত করে থাকেন। কিন্তু একটা আস্ত সিনেমা যদি তিনি ওই ৪ ইঞ্চি স্ক্রিনে দেখে ফেলতে পারেন, তাও পর্বতপ্রমাণ ইমেজের নায়কের ছবি, তাহলে বড় প্রবন্ধে আপত্তিকেও অজুহাত হিসাবে দেখা যায়।
জ্বি, আমি আমি থিউরি মানি না। আমি উল্টা বরং অন্য উদাহরণ দিতে পারব। ধরুন আপনি গল্পকার। আপনি দেশের সবচেয়ে নামি দৈনিক পরম-ভালোতে গল্প পাঠালেন। দুই হাজার শব্দের একটু বেশি হলেই কচাৎ করে কেটে দেবে। আপনি বইয়ের বা সিনেমার রিভিউ লিখছেন। এক হাজার শব্দের বেশি হলেই সম্পাদককে আপনার তদ্বির করতে হবে। সাইবার দুনিয়ায় আড়াই তিন এমনকি সাত হাজার শব্দের গল্প লিখলেও সম্পাদকের পক্ষে ফিট করানো কোনো মামলা নয়। ভরে দিতে পারবেন। যে আপনি রবীন্দ্রভক্ত হয়েও বিশ্বভারতীর ওই হামানদিস্তা কিনতে পারেননি; কিংবা ঐতিহ্য প্রকাশনীরটাও; বিন্দাস বিড়ি ধরিয়ে সাইবারে আস্ত রবীন্দ্রনাথ পড়তে থাকুন। এমনকি মাঝে মধ্যে রুচিবদলের জন্য রবিবাণী বিরতি দিয়ে রবিসুরে যেতে পারবেন। আপনি যদি রবীন্দ্রশৈলীর ভাবগাম্ভীর্যের গুরুতর উপাসক হন অবশ্যই শৈলজারঞ্জন-কণিকা-মায়া সেন খোঁজাখুঁজি করবেন। তারপর পর্যাপ্ত শোকসন্তপ্ত হৃদয়ে আবার আস্ত রবিরচনাতে ফিরবেন। সবই সাইবারে সহজ। এখানে মিনিয়েচার রচনার প্রবক্তারা সাইবারের প্রতি জাস্টিস করছেন না। বরং সাইবার কালেই সত্যিকার অর্থে বলা যায় সাইজ ডাজন্ট ম্যাটার। সকল সাইজেরই এখানে আশ্রয় ঘটে।
তারপরও একটা ১২০০ শব্দের রচনাকে বড় বললে, বাংলায় রচিত বলে হয়তো দস্তয়ভস্কি বা এঙ্গেলস না জানতে পারেন, স্বর্গত রবীন্দ্রনাথও মনভার করবেন। কিন্তু বিশ্বাস করেন, সকলে পড়েননি। পড়া সকলের দরকারও নেই অবশ্য। কিন্তু যিনি আমাকে গাইলাবেন তাঁর তো আমার রচনাটা পড়া কর্তব্যের মধ্যে পড়ে, নাকি? কিন্তু তাই বা বলি কীভাবে! এটা তো ঠিক যে গাইলানো আর পড়া দুইটা দুই ধরনের কাজ। না-পড়ে গাইলানো যাবে না এটা বোধহয় গণতান্ত্রিক প্রস্তাব হলো না। যাকগে! উচ্চ-মাধ্যমিকের পর বিসিএস নিয়োগে আপত্তিকারদের মুখ্য আপত্তির জায়গা হলো ঐ বালক-বালিকাদের (বা নাবালক-নাবালিকা) জন্য রাজকর্ম ভারী হয়ে যাবে। তাঁদের এই আপত্তিকে আমি সিরিয়াসলি নিয়েছি। তাছাড়া জাতিসংঘ অনেক ভেবেচিন্তে দাড়িগোঁফওয়ালা পুরুষ শিশুদের বয়স নির্ধারণ করেছে ১৮। নারীদেরও তাই, কেবল দাড়িগোঁফ ছাড়া। ফলে ওরকম সেমিশিশুদের কাঁধে রাজদায়িত্ব তাঁরা মানতে পারেননি। তাঁরা হয়তো মনে-মনে মনশ্চক্ষে হাফপ্যান্ট পরা শিশুদের জেলায় জেলায় ডিসি হিসাবে সেডান চড়তে থাকা দেখে আঁৎকে উঠেছেন। সম্রাট আকবার ১৩ বছর বয়সে রাজত্ব নেন। আচ্ছা এটা হয়তো একটু পুরান উদাহরণ হয়ে গেল। গত নিবন্ধে আলাপ আলোচনাতে দুচারজন পাঠক স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে মাত্র শ’দেড়েক বছর আগেও সিভিল সার্ভিসের বয়স ছিল ১৯। যদিও তখন জাতিসংঘ ছিল না; কিন্তু থাকলে তো প্রায় শিশুই হতেন ওই ১৯ওয়ালারা। কিন্তু তারপরও গত রচনার মুখ্য জায়গাটা সেসব আপত্তিকারেরা পড়েননি। আবার খানিকটা কোট করে পড়াতেই চাই; যদিও এতে আমার (বা পাঠকদের) গুরুতর মাপের কইলজা ও গুর্দা দরকার পড়বে। “এই যে উচ্চ-মাধ্যমিকের পরেই মধ্যবিত্ত বাংলার পুরুষকুল, এমনকি এখন নারীকুলও, মিলিটারি-মানব হতে থাকছেন এত বছর ধরে, তার উপকারগুলো ভেবেছেন? …লোকে বলে এটা নাকি ৮০’র দশকে তীব্র ছিল। কিন্তু এখন কমে গেছে গুরুতর তাও মনে হয় না। বরং বাণিজ্যে মন আসার পর হয়তো আরো সূক্ষ্ম ও ‘বিনয়ী’ হয়েছে এই মিলিটারি সত্তা।…সামরিক আমলাতন্ত্রের এখনকার যোগাযোগ পদ্ধতি সিভিল আমলাতন্ত্রের থেকে অনেক দক্ষ, সূক্ষ্ম, কম হুমহামকারি, অধিকতর দরকারি।…তাঁরা নিবিড়ভাবে তালিম দেন একজন শিশুর উচ্চ-মাধ্যমিকের পর থেকেই।…তাহলে আদব ও দক্ষতা বৃদ্ধির কাজটি উচ্চ-মাধ্যমিকের পর থেকেই নিবিড়ভাবে করা যে ভাল তার প্রমাণ হাতে-নাতেই পাওয়া সম্ভব।” (প্রথম লেখা দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
উদ্ধৃত করা এই গুরুতর অংশ আপত্তিকারদের চোখ ফস্কে গেছে হয়তো। কিংবা এমনও হতে পারে যে তাঁরা গুরুগম্ভীর হৃদয়ে আমার প্রতি আপত্তি করাকে সামরিক বাহিনি পর্যালোচনার চাইতে অধিক নিরাপদ বোধ করেছেন। শেষেরটা হলে বলার কিছু নাই। কারোরই পেটে লাথি মারতে আমি চাই না। আরও চাই না দিনদুপুরে (বা মধ্যরাত্তিরে) কেউ কবি নজরুলের মতো নির্বাক জীবনের মালিক হয়ে যান। কিন্তু এই অংশটা তো কেবল এই অংশ না। এটা বাংলাদেশে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নিখিল দুনিয়ায়, অতি বড় অংশ। উদরসম। অতিকায় ভুঁড়ি। প্রায় যে কোনো রাষ্ট্রেই তা স্ফীত। কম আর বেশি।
এবং অতীতের যেকোনো সময়কালের থেকে তাঁদের আন্তঃরাষ্ট্রীক কোঅর্ডিনেশন এখন সুচারু। উপরন্তু, মারহাবা, জাতিসংঘ নিজে এই কাজে ঘটকালি করতে রাজি আছেন। আমার মূর্খতাতে তো আপনার বড়সড় ক্ষতি হচ্ছে না! আপনি বরং আপনার আক্কেলটা দেখুন! খেয়াল করে! আপনি অন্তত তিন দশক ধরে রাষ্ট্রায়ত্ব (সরকারী না বললে আবার ঝামেলা হতে পারে) মেডিক্যাল কলেজগুলোতে একজন উর্দিপরা প্রশাসককে দেখেন। যদিও কাগজে-কলমে তিনি হাসপাতালটির পরিচালক। কিন্তু আপনাদের কলিজাতে কি মায়াও নাই? কোনোদিনও লক্ষ্য করেন নাই যে ওই ইউনিফর্মধারীর পাশে নিরীহভাবে বেচারিমতো ডিরেক্টরের সেক্রেটারির-সম মুখ করে বসে-থাকা লোকটাই কলেজের প্রিন্সিপ্যাল? বেসামরিক বিমান চলাচলের দায়িত্বও যে খুব একটা সিভিল কর্মচারিদের দেয়া যাচ্ছে/হচ্ছে না তাও লক্ষ্য করেননি? ঢাকা শহরের মানচিত্রটা ভাল করে লক্ষ্য করেছেন? সিভিল আর অসিভিল অঞ্চল আলাদা করে পেন্সিল দিয়ে দাগাতে পারবেন? এইসব ব্যবস্থা দেখতে দেখতে বুড়া হয়ে গেলেন, বা অন্তত জাতিসংঘের শিশু আর থাকলেন না, তাও বুঝলেন না যে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশের পর হাইভোল্টেজ চাকুরিজীবী হলে কোনো সমস্যা হয় না! আলোচ্য ওই চিকিৎসক-সেনা কর্মকর্তা অবশ্যই আগে ডাক্তার পরে সেনানি হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু মিলিটারি একাডেমি বলে কোনো কিছুই কি শোনেননি? সেখানে যে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার উৎপাদন হন তাও জানেন না? ব্যারিস্টার বা হোমিওপ্যাথ হন না বলেই জানি, কিন্তু দার্শনিক হন না তা আর অধুনা বাংলাদেশে বলা যাবে না। মিলিটারি সনাতনী একাডেমির পর এখন আরো আরো নতুন ব্যবস্থা হয়েছে। সেটা নিয়ে এখন আলাপ শুরু হলে বেড় পাওয়া যাবে না। তাহলে, ভাবুন, ওরকম একাডেমি ইনসার্ভিস তালিম দিয়ে রাজ-ঊর্ধ্ব কর্মচারি বানাতে পারলে ইনসার্ভিস তালিমে (ডিগ্রিপ্রদান) রাজকর্মচারি বানানো যাবে না কেন?
যাহোক, মোটের উপর আমার বক্তব্য এই যে আপনারা অন্যায় করেছেন। ঘোরতর অন্যায়! আমাকে নিন্দা করেন, গালি দেন, ব্যাপার না। তাই বলে সামরিক বাহিনির সাফল্য নিয়েও খেয়াল করবেন না? এই একাডেমিটা ৩-৪ বছরের গ্রাজুয়েশন শেষে যে দিকপালসমূহ জোগান দিতে থাকেন তার রোশনাই লক্ষ্য না করে আপনারা তাঁদের কর্মকাণ্ড ও মর্যাদার প্রতি সুবিচার করেননি। শিশুকাল কাটানোর পরপরই ইনসার্ভিস তালিমে কত কিছু ঘটে গেল! আর আপনি কোন ঘোরে আছেন শিশুশিশু জিকির তুলে! বরং সিভিল সার্ভিসে এই ব্যবস্থা চালু হলে সেটা আরো কস্ট ইফেক্টিভ হবে। ট্যাংক এবং রাশিয়া থেকে কী কী জানি কেনার বিষয় যদি বাদও দিই, বিসিএস নিয়োগে ইউনিফর্মের খরচটাও লাগছে না গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের।
আদাবর।। ০৩ জুলাই ২০২১
প্রথম লেখা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ উচ্চ-মাধ্যমিকের পরেই হতে পারে!