আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ অক্টোবর গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় সন্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির এক বর্ধিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলকে আহ্বায়ক ও সম্পাদকমন্ডলীর অন্যতম সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পুকে সদস্য সচিব করে “সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি” গঠন করা হয়েছে। দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটলে সম্মেলনের তারিখ অপরিবর্তিত থাকবে বলে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে সারাদেশের নেতাকর্মীদের প্রতি দলীয় সার্কুলারে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আসন্ন সম্মেলন উপলক্ষ্যে “ভবিষ্যত বাংলাদেশের রুপকল্প” বিপুল অধিকাংশ জণগনের সামনে উপস্থাপনের জন্য মতবিনিময়ের আয়োজন করা হবে। গণসংহতি আন্দোলন জনগণের দল হিসেবে তাদের রুপরেখায় জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বদ্ধপরিকর। খুব দ্রুততার সাথে খসড়া রুপরেখার ওপর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকবৃন্দের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা হবে, জণগনের মতামতের সারসংক্ষেপ সম্মেলনে রুপরেখা আকারে চুড়ান্ত হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি ও চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে গণসংহতি কেন্দ্রীয় কমিটি মনে করে, বর্তমানে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী শাসন বেশ শক্ত করে জায়গা নিয়েছে। এই কর্তৃত্ববাদী শাসনে পুরোনো ধরনের স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের নানা উপাদান যেমন রয়েছে তেমনি নতুন অনেক বৈশিষ্ট্য ও মাত্রা যুক্ত হয়ে এটা এক নতুন চেহারা নিয়েছে। এই শাসন জনগণের জীবনে যে বাস্তবতা তৈরি করেছে তার পূর্ব দৃষ্টান্ত খুব বেশি নেই। বিশেষভাবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার এই বাস্তবতা বাংলাদেশে অদৃষ্টপূর্ব। একারণে গণমানুষের রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন রাষ্ট্রের ‘গণতান্ত্রিক রুপান্তর’র দাবীটিকেই জণগনের কাছে পৌঁছে দিতে চায়।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ১ম প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে ‘মুক্তিযুদ্ধে জণগনের আকাংক্ষার সার্বভৌম বাংলাদেশ কায়েমের আহ্বান’ জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলন গঠিত হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দলটি গত ২০১৬ সালের ৪-৫ নভেম্বর ঢাকায় ‘৩য় প্রতিনিধি সম্মেলন’ করে জোনায়েদ সাকিকে প্রধান সমন্বয়কারী ও অ্যাড. আবদুস সালামকে নির্বাহী সমন্বয়ক করে ২৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিলো।
জ/উম-৬/১০