আসন্ন বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, ভোট কেনা, নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন ও ভোটারদেরকে ভয় দেখানোর প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলন বেড়া উপজেলা শাখার প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণসংহতি আন্দোলন লড়াই করছে, তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের ভোট প্রদানের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন ফকির প্লাজার সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিবাদী মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বেড়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আলিম, সদস্য সচিব সানোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক সজীব হোসেন দীপ্ত, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বেড়া শাখার আহ্বায়ক লিমন সরকার সহ গণসংহতি আন্দোলন বেড়া উপজেলার নেতাকর্মীরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি পাবনা জেলার শাখার সংগঠক কামরুল হাসান লিটন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “প্রশাসন ও পুলিশ তাদের দ্বায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ একদলীয় প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত। বোমাবাজি চলছে, হামলা ও পাল্টা হামলা চলছে, সাংসদ ও সরকারি লোকজন নিজেরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙছেন। রাতের আঁধারে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার উৎসব চলছে।”
এইসবের প্রতিবাদে নেতৃবৃন্দ জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই ফ্যাসিবাদী সরকার রেখে স্থানীয় নির্বাচন বা জাতীয় নির্বাচন কোনোটাই আর সুষ্ঠুভাবে হবে না, তাই গণসংহতি আন্দোলন জণগণের বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিবে।”
মানববন্ধন শেষে মিছিল চলাকালে একপর্যায়ে নৌকা মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আল মাহমুদ সরকার, এড. ফজলুর রহমান পটলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পুলিশের টহলগাড়ির উপস্থিতিতে মিছিলে বাঁধা প্রদান করে, তবে গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামলে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়।
আগামী ২৮ নভেম্বর বেড়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন এমন একাধিক প্রার্থী থাকায় তারা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় হামলা, বোমাবাজি সহ যা যা করছে তাতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।