শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামের ওপর শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ছিল শিল্পাঞ্চল । শ্রমিকরাও প্রাণচঞ্চল ছিল। শিল্পাঞ্চল এখন নিষ্প্রাণ অবস্থায় পড়ে আছে। শ্রমিকরাও এখন দিশাহীন। অথচ পাটকল ও পাটশিল্পের সাথে ছিল শ্রমিকের প্রাণের সম্পর্ক। একে অপরের পরিপূরক। পরিতাপের বিষয়, ২ জুলাই ২০২০ তারিখে প্রাণের সম্পর্ককে দ্বিখণ্ডিত করা হল। সরকার সোনালী আঁশ দিয়েই পাটকল শ্রমিকদের গলায় স্থায়ী ফাঁসের অনুমোদন করে। পরিকল্পিতভাবে শেষ পেরেক মেরে দেয়। শ্রমিকদের জীবিকার ওপর কুঠারাঘাত করে। ক্ষমতাসীন এই শাসকের ফাঁসের ইতিহাস ‘স্বর্ণাক্ষরে বা সোনালী অক্ষরে’ লেখা থাকবে। জনসম্মতিহীন শাসক তার ফ্যাসিবাদী মুখোশ উন্মোচন করল।
প্রাসঙ্গিক লেখাটির শুরু এভাবে যদি সাজানো যায়- পাট সংগ্রহ করে কারখানায় আনা হয়। পাট উৎপাদনে দেয়া হয়। উৎপাদিত পাট থেকে প্রসাধন, পেটিকা, শাড়ি, গহনা, গালিচা, বাতির ঢাকনা (লাম্পশেড), শতরঞ্জি পর্দার কাপড়, কুশন কভার, চট, বস্তা ইত্যাদি তৈরী হয়। এগুলো বাজারজাতকরণ করা হয়। মালিকেরা মুনাফা অর্জন করে। অথচ শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক সময় মত পায় না। মজুরী আদায়ের জন্য অনেক সময় রাজপথে নামতে হয়। আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়। লড়াই করতে হয়। না খেতে পেয়ে, না খেয়ে আমরণ অনশন করতে হয়। এ প্রসঙ্গে আমি ২০০৭ সালে খুলনার শিল্পা লের শ্রমিকদের পরিণতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলাম। প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলাম- ক্রিসেন্ট, পিপলস এবং স্টার জুটমিল লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এ সমস্ত পাটকলের প্রতিটি শ্রমিক কলোনিতে দাঙ্গা পুলিশ প্রবেশ করে। তারা হৃদরোগ ও ক্যান্সার আক্রান্ত শ্রমিক এবং সেই সঙ্গে শিশু-কিশোরী-তরুণী-নারীদের ওপর রাইফেলের বাঁট, লাঠি দিয়ে নারকীয় নির্যাতন চালিয়েছে। এভাবে রাষ্ট্রীয় জুলুমের শিকার হয়ে শ্রমিকদের উৎপাদনের সাথে যুক্ত থাকতে হয়। অথচ এরাই জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
এই করোনাকালে ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্য দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী ও ২৫ হাজার অস্থায়ী শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ওপর নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছে। এই শ্রমিকের পাশাপাশি শ্রমিক পরিবারও যুক্ত। শুধু তাই নয় পাটকলের সন্নিহিত এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা ঘোর অমানিশার অন্ধকারে পরিণত হবে। এসকল শ্রমিকের কারণে লোকসান হয়েছে সরকার এক্ষেত্রে উচ্চকন্ঠ। পাটকলগুলো খোলা থাকলে প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা লোকসান হয়। অথচ এই সরকারের আমলে ৪৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণ মওকুফ করেছে। বিজেএমসি, অর্থ ও পাট মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও ভ্রান্তনীতির কারণে লোকসান হয়েছে। লোকসানের নেপথ্য প্রধান ভূমিকা পালন করে ও তাদের ইন্ধনদাতা মন্ত্রী, আমলা, বিজেএমসি কর্মকর্তা ও পরামর্শকদের মধ্যে কয়জনের বিরুদ্ধে বিচারপূর্বক শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বিচারে দেখা যাবে -একজনও নয়। যুক্তির মানদন্ডে পাট শিল্পের প্রধান দায়ের তীর এদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। অথচ নিজেদের আড়ালে রেখে প্রধান দায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে শ্রমিকদের ওপর। এযাবৎ বিচারপূর্বক সমস্ত অন্যায় শাস্তির নরকদন্ড শ্রমিকদের বরণ করতে হয়েছে। এটি ঘোরতর অন্যায়। একই ঘটনা যখন ধারাবাহিকভাবে ঘটে তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এটি শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর আগে কীভাবে প্রযুক্তিগতভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করে পাটকলের লোকসান কমানো যায় তার একটি প্রস্তাব শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে পেশ করেছিল। এই নবায়নের চার মাস বন্ধ রাখা অবস্থায় শ্রমিকেরা ৫০ ভাগ মজুরী দিতে প্রস্তুত। এর জন্য ১০০ কোটি টাকা রাখারও প্রস্তাব দেয়। এর পাশাপাশি যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করে নবায়ন বাবদ যে খরচ হবে। বাজার যাচাই করে তার একটি হিসাবও উপস্থাপন করে। সেই হিসাবে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেই এই পাটকলগুলোকে নবায়ন করে উৎপাদন বাড়ানো যায় বলে তারা দেখিয়েছে। অথচ আমরা দেখলাম, এই করোনাকালে অর্থসংকট দেখিয়ে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে নবায়নের বিপরীতে বেসরকারীকরণের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বাজেট থেকে খরচ করতে প্রস্তুত সরকার। এতোদিনের বকেয়া মজুরী দিতে অসুবিধা হলে এখন তড়িঘড়ি করে এতো টাকা কোথা থেকে আসছে?
পাটকল বন্ধে রাষ্ট্রীয় আমলাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেকটি নিয়োগে, প্রতিটি বদলীতে, প্রতিটি পদোন্নতিতে, প্রতিটি বরাদ্দে যে দুর্নীতি হয় তা সরকার বন্ধ করতে পারছে না। দুর্নীতির তীরবিদ্ধ এই আমলারা এবং পাটের মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা জোটবদ্ধ হয়। তারা উভয়ে সিন্ডিকেট করে লুটপাটের উদ্দেশ্যে সঠিক সময়ে পাট ক্রয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। সাধারণ কৃষকের কাছে যখন পাট থাকে তখন আমলারা পাটক্রয়ে অর্থ ছাড় দেয় না। নিরুপায় হয়ে কৃষকেরা কম দামে ফড়িয়াদের কাছে পাট বিক্রয় করতে বাধ্য হয়। পাটের মন প্রতি দুই হাজার পাঁচশত টাকা হলে তখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় করা হয়। এতে কৃষক লাভবান হয় না। কৃষকের লাভের থলিটা যায় ফড়িয়াদের কাছে। কৃষকের বুকের ওপর বসে লাভের টাকা ভাগ করে ফড়িয়া, বিজেএমসি, আমলা ও সরকারের লোকেরা।
দুর্নীতি-লুটপাট-লুণ্ঠন ও অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে গণবিরোধীদের ঐক্য থাকে অটুট। একই স্বার্থে থাকে সংহতি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিগত জোট সরকারের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী পথে হাটছে। বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়ত্ব ২৬টি পাটকল আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজন ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এই টাকা ভর্তুকি না দিয়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের (সোনালী করমর্দন)জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। অতীতেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। তখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে এশিয়ার বিখ্যাত আদমজী পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়। আদমজী পাটকলকে ভয়ংকর অজগর আখ্যা দিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়। আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২০০ কোটি টাকা। অথচ তৎকালীন জোট সরকার বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ১৩শ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল পাটকল বন্ধের জন্য।
সরকার বোকার স্বর্গে বাস করছে। পাটকল বন্ধে সরকার শুধু বোকামির পরিচয় দেয়নি। নিজেদের ধ্বংস করার ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে। সাগরের তলদেশে বিলিয়ন-বিলিয়ন টন বর্জ্য জমে আছে। প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথিবীর সিংহভাগ দেশকে অচল করে দিয়েছে। প্লাস্টিককে চিরতরে বিদায় জানাচ্ছে। বিশ্বময় পাটপণ্য নিয়ে প্রবল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। অথচ আমাদের দেশের সমগ্র লুটেরা শাসকগোষ্ঠী পাটকল বন্ধে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শাসকেরা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও ভারতকেন্দ্রিক সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তির স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। বাংলাদেশের সমগ্র শাসকগোষ্ঠী সাম্রাজ্যবাদের ক্ষুদ্রতরফের অংশীদার ও এদেশের পাহারাদার। এরাই সাম্রাজ্যবাদের এদেশীয় ব্যবস্থাপক। বর্তমান এদেশীয় ব্যবস্থাপক সরকারই ২০১০ সালে পাটপণ্য ব্যবহারে প্যাকেজিং আইন প্রবর্তন করেছিল। এখন তা বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ গ্রহণ বা আগ্রহ প্রকাশ করছে না। এই আইন সক্রিয় ও বাস্তবায়ন করলে দেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। পাটপণ্যের দাম সাধারণ জনগণের নাগালের মধ্যে রাখতে হলে রাষ্ট্রীয় পাটকলের অস্তিত্ব অপরিহার্য।
এই সরকার জনগণের ভোটের কোন তোয়াক্কা করে না। তাদের ভোট ও ম্যান্ডেট বা প্রদত্ত ক্ষমতার কোন প্রয়োজন হয় না। প্রশাসনের ক্ষমতা ভর করে রাষ্ট্রীয় সিংহাসনে বসে আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই শ্রমিক-জনতার বিরুদ্ধে খড়গহস্ত নেমে আসে। রাতের আঁধারে সাদা পোশাকে বেআইনিভাবে আটক করছে। সম্প্রতি খুলনার শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক মো নূর ইসলাম ও মোঃ ওলিয়ার রহমানকে গুম করে। গত ৬ জুলাই গভীর রাতে সাদা পোশাকধারীরা তাদের গুম করে। তাদের অজ্ঞাতস্থানে বন্দী করে রাখে। আটকের উদ্দেশ্য হল শ্রমিকরা যাতে সংগঠিত হতে না পারে। তাদের ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার হতে না পারে। সরকারের উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা।
স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকে পাটকলের লোকসানের নবযাত্রা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। নেপথ্যের কারণগুলো ব্যাখ্যা করলে আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে-পাটকলের লোকসানের অস্পষ্টতা। অসময়ে পাটক্রয়, সঠিক সময়ে অর্থ বরাদ্দ না দেয়া, বিলম্বে চড়া মূল্যে পাট ক্রয় করা, মেশিন ও যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন না করা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহে অনিশ্চয়তা, বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবহারে উদ্যোগ গ্রহণ না করা। দেশের মধ্যে পাটজাত দ্রব্যাদি ব্যবহারে উদ্যোগ, পরিকল্পনা গ্রহণ ও সচেতনতা সৃষ্টি না করা। বিদেশ-বিভুইয়ে পাটের নোতুন-নোতুন বাজার তৈরিতে জোর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকা। লোকসানের এই নেপথ্য কারণগুলোর সমাধান না করে পাটকল বন্ধ করা কোন সামাধান নয়।
বন্ধকৃত পাটকল ব্যক্তিমালিকানাধীনে হস্তাস্তর করলেও যে, পাটকলের অব্যবস্থাপনা থাকবে না। মুনাফা হবে আশাব্যঞ্জক। এ রকম প্রত্যাশার কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ ব্যক্তিমালিকানার নাম করে স্বল্পমূল্যে জমি ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করে যা লুটপাটের সামিল। প্রভূত সম্পত্তি দেখিয়ে ব্যাংক ঋণ নেয়। অথচ শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত হয়। শোষণের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে পাটকলের মালিকদের মুনাফা বৃদ্ধি মূল লক্ষ্য। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারে না এমন উদাহরণও আছে। খুলনায় ব্যক্তিমালিকানাধীনে হস্তান্তরকৃত ৩টি পাটকল বন্ধ। পাটকলগুলো হল-এজাক্স, সোনালী ও মহসেন জুট মিল। পাটকলগুলোকে ব্যক্তিমালিকাধীনে হস্তান্তর করার পর শ্রমিক নিয়োগে ষড়যন্ত্র চলবে। তখন তারা শ্রমিক নিয়োগ করবে না। প্রতিদিনের পারিশ্রমিক প্রতিদিন মিটিয়ে দেবে। এতে করে মালিক লাভবান হবে। শ্রমিক তখন বেতনের পরিবর্তে প্রাত্যহিক মজুরী পাবে।
লুটপাটকেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের রাজনৈতিক প্রভাব নিশ্চিহ্ন করতে হবে। সিন্ডিকেটের সক্রিয়তার প্রধান ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। পাটকল বন্ধ বা ব্যক্তিমালিকানাধীনে হস্তান্তর নয় বরং দুর্নীতি জ্যান্ত রাখার যে বলয় তা সমূলে নির্মূল করতে হবে।
বাংলাদেশ যখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল তখন এদেশে পাটকলের সংখ্যা ৭৭টি ছিল। পাটচাষের জন্য উর্বর ভূমি ছিল এ অঞ্চলে। উৎপাদিত পাটজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানী করে যে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জিত হত তার বেশীর ভাগ পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হত। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পূর্বশর্ত ছিল পাটকে ঘিরে। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর মনে করা হয়েছিল-সোনালী আঁশ দেশের জনগণের কাজে লাগবে। বিক্রয়লব্ধ বৈদেশিক মূদ্রা জনগণের কল্যাণে ব্যয় হবে। কিন্তু সে আশায় হল গুড়েবালি। পাটকল ও পাটশিল্পের ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে সোনালী আঁশের দেশ পরিচয়দানকারী বাংলাদেশকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করা হল। সোনালী আঁশের সোনালী দিন ফিরে পেতে এদেশের শ্রমিক-ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ ও বৃহত্তর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। প্রতিরোধের প্রবল স্রোত গড়তে হবে।