প্রথম অধিবেশনঃ স্বাস্থ্যের অধিকার, মৌলিক অধিকার, বিদ্যমান অবস্থা ও গণমুখী সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার রূপরেখা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ মেজাহেরুল হকের বক্তব্য নিম্নে লিপিবদ্ধ করা হলোঃ
(জনাব তৌফিক জোয়ার্দারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে) আমাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায় জনগনের আস্থা ফেরাতে হবে। এ বিষয়ে তিনি (জনাব জোয়ার্দার) যে ৩ টি বিষয় চিহ্নিত করেছেন পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের গবেষণায় তাকে সাধুবাদ জানাই। পাবলিক হেলথ অর্গানাইজেশনের মতো অন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাক্তিপর্যায়ে যারা এটি নিয়ে গবেষণা করেন তারা এ গবেষনাটি উৎসাহিত করবে। তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা উন্নয়নে একটি Evidence base health system প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই এই কার্যের মূখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
আজকে গণসংহতি আন্দোলন যে উদ্বেগটি নিয়েছে তাকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে এবং এগিয়ে নিতে যেটা প্রাধান্য পাবে তা হলো পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, ব্যাক্তি ও সরকারে যারা আছেন তাদের নিয়ে একটা Evidence Based স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা দাঁড় করানো।
আমাদের দেশে প্রচলিত যে হেলথ সিস্টেম তা কিন্তু শুধু হেলথ সিস্টেম না হয়ে পাবলিক হেলথ সিস্টেম হওয়া উচিত। পাবলিক হেলথ সিস্টেম পরিচালনার জন্য আমাদের যে মন্ত্রণালয় থাকে সেটাও পাবলিক হেলথ মিনিস্ট্রি বলা উচিত। তাহলে এটা গুরুত্ব পাবে। একটা দেশের মধ্যে পাবলিক হেলথ শুধু ডিসিপ্লিন হিসেবে রেখে দিলে এটার যে জনসম্পৃক্ততা বিশেষ করে জনস্বাস্থ্যর জন্য সেটা সঠিক মূল্যায়ন হয় না। আবার সঠিক মূল্যায়ন না হওয়ার কারনে তাদের যে সমস্ত ধারনা ও পরামর্শ আছে সেগুলোও সঠিক জায়গায় পৌঁছায় না। কারন আমরা এমন একটা হাসপাতাল বা চিকিৎসা বেইজ তৈরি করে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাকে সীমাবদ্ধ রেখেছি যেটা এখনকার পরিবেশ পরিস্থিতিতে থাকা উচিত নয়। আমরা পূর্বে তৌফিক জোয়ার্দারের কাছ থেকে যে প্যানডেমিকের কথা শুনেছি তাতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা সত্যি যে নগ্ন তা প্রমানিত হয়েছে।
এখন আসি গ্রামিন ও নগর স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায়ঃ
আমরা বর্তমানে মোটামুটি একটি নগর স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার উপর নির্ভর করে আছি। কারন আপনি দেখবেন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সর্বত্র যে সমস্ত রুগি থাকে তাদের প্রত্যেকের একটা ধারনা ঢাকায় ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে এবং সে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য আমাকে সেখানে যেতে হবে। সে কারনেই আপনি দেখবেন চিকিৎসা ব্যাবস্থর মূল কাঠামো থেকে সরে এসে সেকেন্ডারি চিকিৎসা পর্যন্ত আমরা শহরে নিয়ে এসেছি। এমনকি প্রইমারি কেয়ারের ব্যাবস্থাও শহর ভিত্তিক হয়ে গেছে। উল্লেখ্য টিকা নিতেও আজকাল মফস্বল থেকে লোকজন ঢাকাতে আসে যেহেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থা কিছুটা ভালো।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৪ ভাগ লোকজন গ্রামে বসবাস করে। পাশাপাশি তাদের আয়ের ৬৭ ভাগ নিজ পকেট থেকে চিকিৎসা ব্যায়ে বরাদ্দ রাখতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, এটা অনেক আগেই ৬৭ থেকে ৩২ এ নামিয়ে আনার কথা ছিলো। যা তার পরে ১৮ তে নামানোর কথা হয়েছে। উপরন্তু আমরা এখনও এ জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। পরিতাপের বিষয় বিগত এক যুগ ধরে আমরা সেই ৬৭% মধ্যেই আছি। অর্থাৎ আমরা জাতিগত অথবা রাজনৈতিক বলেন কোন দিক দিয়েই এ লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হই নি। এখন আমরা যা নিয়ে কাজ করছি সেটা হলো Universal Health Coverage। আমাদের যদি Universal Health Coverage এর কথা বলতে হয় তাহলে প্রথমে আমাদের মানসম্মত চিকিৎসার কথা বলতে হবে। যেমন Accessibility অর্থাৎ যেকোন মানুষের কাছে যেন চিকিৎসা ব্যাবস্থা Accessible, available and Affordable হয়। এখন আমি Affordable এর কথা বললাম কারন বাংলাদেশর মানুষ Afford করতে পারে না কারন তাদের পকেট থেকে অনেক ব্যায় করতে হয়। দেশের কতজন লোক তার উপার্জন থেকে ৬৭ ভাগ টাকা খরচ করার সামর্থ রাখে। সুতরাং আমরা যদি Universal Health Coverage অর্জন করতে চাই তাহলে আমাদের Public Health system এ যেতে হবে।
বাংলাদেশ একটি resource constrine এর দেশ। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা অসুস্থ হলেই আমাদের চিকিৎসা জন্য ব্যায় বেড়ে যাবে। এ ব্যায় বেড়ে যাবার অর্থ অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা, খাদ্য সহ সকল উপকরন ক্রয়, পরিবারের অন্যদের চিকিৎসা ব্যায় সহ নানান জিনিসের উপর প্রভাব পড়বে। চূড়ান্তভাবে এটার একটা বড় ইফেক্ট থাকবে। আমাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু রাষ্ট্রের উপর বর্তায়। আমাদের মূল্যবান সম্পদ জীবন সর্বক্ষন থাকে ঝুঁকির মুখে। আমি আগেই বলেছি, ৬৪ শতাংশ লোক গ্রামে থাকে তাদের জন্য যে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা আছে সেটার মূল কেন্দ্র কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
আমরা যদিও বলি স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা সকলের দোরগোড়ায় পৌছেছে, প্রতি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। তবে পরিতাপের বিষয় আমাদের উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স গুলো মোটেই ফাংশনাল না। আমি আবার বলছি ফাংশনাল না। তেমনি সেগুলোর নিচের স্তরের যেমন ইউনিয়ন হেলথ কমপ্লেক্স, সাব হেলথ কমপ্লেক্স পরবর্তীতে কমিউনিটি ক্লিনিক আদতে কোনোটাই ফাংশনাল না। তার অর্থ গ্রামীন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা adzeopardai। অর্থাৎ মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পর্যাপ্ত না তাই একটি বিরাট জনগোষ্ঠী এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আমি আমার বক্তব্যর পাশাপাশি পরামর্শও রাখবো। তাহলে আমাকে প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদের কিভাবে Universal Health Coverage এর আওতায় আনা যায়। সেটা করতে হলে আমাদের চারটি জিনিস নিশ্চিত করতে হবে। প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো একটা উপজেলা যে স্বাস্থ্যসেবা পাবে তা চূড়ান্তভাবে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সও পাবে। আমরা জানি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ডাক্তারের সংখ্যা কিন্তু অপ্রতুল নয়। সব কমপ্লেক্সই জনবল নিয়োগ দেয়া আছে। শুধু জনবল নিয়োগ দিলেই হবে না সঠিক চিকিৎসার জন্য যা যা করনীয় সেই জায়্গার আমাদের দরুন ঘাটতি রয়ে গেছে। আমার মনে হয় আমরা যদি সমস্ত উপজেলা কমপ্লেক্স ফাংশনাল করতে পারি তাহলে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। যারাই সরকারে আসুক এটা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত যে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সকে ফাংশনাল করা এবং একটি ইফেকটিভ রেফরেল সিস্টেম চালু করা। আজ টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া যেখানেই বলুন একজন গরীব সাধারন রুগি তারপক্ষে কি ঢাকার হসপিটালে আসা সম্ভব? কখনোই সম্ভব নয়। এই বাস্তবতাকে স্বাীকার করতে হবে। সে জন্য আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স পর্যন্ত যে সেবা ব্যাবস্থা আছে সেটার সক্ষমতা বাড়িয়ে একটি রেফারেল সিস্টেম চালু করতে হবে। তারপর হেলথ কমপ্লেক্স থেকে জেলা হেলথ কমপ্লেক্স পর্যন্ত এটি চালু থাকতে হবে।
আমরা যদি কেন্দ্রীভূত স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ না করি তার ফল হবে রেসপন্সিবিলিটি ও এ্যাকাউন্টিবিলিটির অভাব। আমরা সচিবদের দেখেছি জেলার দায়িত্ব দেয়ার জন্য। সচিবরা এটা নিয়ন্ত্রণে কি ভূমিকা রাখতে পারেন? তাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা সম্পর্কে কতটূকু জ্ঞানইবা আছে! সেখানে একজন বিজ্ঞ ব্যাক্তি যিনি এই মহামারির ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে পারেন এবং যাকে আমরা দায়বদ্ধ করতে পারতাম তিনি হলেন সিভিল সার্জন। তিনি সম্যক অবগত তার জেলার স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা সম্পর্কে। সুতরাং আমাদের প্রধান কাজ স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা। যাতে বাজেট থেকে শুরু করে Implement পর্যন্ত আমরা কর্তব্যরত ব্যাক্তিকে দায়বদ্ধ করতে পারি। যতক্ষণ পর্যন্ত দায়বদ্ধতা না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই জেলার স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার মান কোন ভাবেই উন্নয়ন করা যাবে না।
এখন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার সাথে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ততা আলোচনা করি। আপনারা জানেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগ থেকেই একটা প্রস্তাব পাশ করেছেন। যেটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে Health in all policy অর্থাৎ সকল মন্ত্রণালয়ের সাথে Health এর সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। ( as a policy of ministry) । আমাদের দেশে industrial policy তে কি health policy আছে? এজন্য তাদের বরাদ্দ থাকলেও সে বরাদ্দ কি আমরা পলিসি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করি? আমাদের খাদ্যের সহজলভ্যতার সাথে সাথে নিরাপদ ও সুষম খাদ্য প্রয়োজন। এটা তো স্বাস্থ্যের অংশ ও health এর মৌলিক জিনিস। এখানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের health এর সাথে কতটুকু সম্পৃক্ততা আছে। তাই আমাদের প্রথমেই বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি জনসম্পদের সুষম বন্ঠন করতে হবে। আমাদের উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ৩২/৩৫ জন ডাক্তার আছে। কিন্তু সেটা ফাংশনাল না। এটা এক ধরনের অপচয়। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। অত্যন্ত অদক্ষ লোকজন এখানে যুক্ত আছেন। আমরা একটু আগেই শুনেছিলাম জনাব তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন জনস্বাস্থ্যের কিট নিয়ে কি হচ্ছে। এটা এমন একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে যার জন্য আমাদের মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। র্যাপিড এ্যান্টিজেন ও এ্যান্টিবডি একটি বিজ্ঞান সম্মত কীট। যার পৃথিবী জোড়া ব্যাবহার হয়ে আসছে। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। উপরন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি নাই। এটার কারন হলো অব্যাবস্থাপনা। সুতরাং আমাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সৎ ও মেধাবী ব্যাক্তিদের সেখানে নিতে হবে। তাদের দক্ষতা ও মেধা কাজে লাগিয়ে অবস্থাপনা দূর করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার খারাপ দিকটি হলো আমরা আমাদের বরাদ্দটুকু ব্যায় করতে পারি না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দটুকু যৎসামান্য হোক সেটার কি জুডিশিয়ারি ব্যাবস্থা করছি? তা করছিনা আবার কখনও কখনও মোটেই করছিনা। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক যুগ আগে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা থেকে দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করতে হবে। আমরা কতটুকু দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করতে পেরেছি!
দুর্নীতি কোথায় হয় আমরা তা জানি। দুর্নীতি হয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও কেনাকাটায়। এ দুটো জায়গায় দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে আমরা সেই টাকা স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার মান উন্নয়নে ব্যায় করতে পারবো। আমরা এখন যে অব্যাবস্থাপনা ও দুরব্যাবস্থা দেখতে পাচ্ছি এর প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দূর করনে সরকারকে প্রথমেই বিকেন্দ্রীকরণে যেতে হবে। দায়িত্বশীলতা ও দায়বদ্ধতা ঠিক করতে হবে৷ পাশাপাশি একটা Evidential based health system স্থপন করতে হবে। এজন্য প্রচুর গবেষনাকে উৎসাহিত করতে হবে। Public health system ছাড়াও যারা আছে তাদের গবেষনাকেও উৎসাহিত করতে হবে। তারপরও যা করতে হবে তা হলো Monitoring, evaluation এবং super vision। এ তিনটি জিনিস আমাদের মাঝে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। আজকে রিজেন্ট হসপিটালের যে চিত্র আমরা পাচ্ছি তার কোন monitoring ও Super Vision হয়েছে? এখানে একটা চরম ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছি আমরা। কয়েকটি মানহীন প্রতিষ্ঠানকে (GKG ও রিজেন্ট) লাইসেন্স দিয়েছি৷
যেহেতু আমি একজন চিকিৎসা শিক্ষাবিদ, সেক্ষেত্রে আমরা একটা কথা না বললেই নয়। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা সর্বকালের সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। এজন্য বাংলাদেশর মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের কিছু Criteria ঠিক করা আছে সে মানেরও আধুনিকায়ন দরকার। আমরা মেডিকেল কলেজের পর মেডিকেল কলেজ খুলে চলেছি৷ কিন্তু এগুলো কতোটা মানসম্মত! আমি সবগুলোকে মান হীন বলবো না। যথেষ্ট সংখ্যক মানহীন প্রতিষ্ঠান আছে যেটা মেডিকেল ও ডেন্টাল নির্ধারিত criteria পূরন করে না। সুতরাং এ দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য একটি মেডিকেল শিক্ষা কমিশন গঠন করা উচিত।
ধন্যবাদ।
ড. মোজাহেরুল হক
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ