বাংলাদেশে জনগণের কাছে এখন লুটেরাদের বেগমপাড়ার খবর পরিচিত। তারা সংবাদপত্র পাঠ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অনলাইন ব্যবহার করে বেগমপাড়ার বিষয়ে খোঁজখবর পান। বেগমপাড়ার কর্ণধাররা হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক কিভাবে হন তা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। যখন রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তি শীর্ষ পদে থেকে লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাট করেন তখন ঘটনাচক্রে কিছু কিছু খবর সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। এসব প্রকাশ পেলেও সরকার বিস্ময়করভাবে নীরব থাকে। সাংবাদিকরাও অনেক সংবাদ লিখতে চান না বা এড়িয়ে চলেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের বিষয়টিও বিদ্যমান। এ আইনের ব্যবহার/অপব্যবহারে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তথ্য চুরি, অত্যন্ত গোপনীয় দলিল ও গোপন নথি প্রকাশ করাসহ নানাবিধ অপরাধের খড়গ রয়েছে। সরকারি আমলা ও পেটুয়া লুটেরারা হাজার-হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি-লুটপাটের ঘটনা জনগণের চোখ থেকে আড়াল করতে সর্বদা তৎপর। গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা সম্পর্কে আমেরিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের ঐতিহাসিক উক্তি স্মরণীয়, ‘জাতির স্বাধীনতা হরণ করতে হলে সবার আগে গণমাধ্যমের মুখ চেপে ধরতে হবে।’
গত ১৭ মে ২০২১ তারিখে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ৫ ঘন্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও মানসিক হয়রানি করা হয়। পুলিশী প্রহরায় শাহবাগ থানায় নিয়ে নথি চুরির চেষ্টায় অফিসিয়াল সিক্রেট আইনে মামলা রুজু করে গ্রেফতার দেখিয়ে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। গণমাধ্যমে কর্মরত থাকার কারণে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, হেনস্তাকারীদের বিচার, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সচিবের দুর্নীতির দাবিতে রাজপথ উত্তাল হয়। এমনকি আন্তর্জাতিক মহল থেকেও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং তার মুক্তির দাবি করা হয়। প্রাসঙ্গিক এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছার দুর্নীতির চিত্র জনগণের সামনে উঠে আসে। তার দুর্নীতির চিত্র জেনে অসংখ্য মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা কাজী জেবুন্নেছার দুর্নীতি করে কি করে প্রভূত সম্পত্তির মালিক হন। সাংবাদিক রোজিনা গ্রেফতার না হলে সেসব জনগণের সামনে আসতো না। এই ঘটনার পরে সোসাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়, জেবুন্নেছার নামে-বেনামে, দেশে-বিদেশে বাড়ি-গাড়ি-ফ্লাট-জমি ও ব্যাংকে প্রভূত অর্থ রয়েছে- যা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন। তার অর্থ ও সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে-ঢাকায় ৪টি বাড়ি, ফ্লাট, গাজীপুরে ২১ বিঘা জমি, কানাডায় ৩টি বাড়ি ও লন্ডনে ১টি বাড়ি আছে। এমনকি ব্যাংকে শত-শত কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। (দৈনিক যুগান্তর, ২০ মে, ২০২১)
বর্তমান নানাবিধ ঘটনার পরিপেক্ষিতে সঙ্গত কারণে প্রশ্ন জাগছে রাষ্ট্র বা সরকারকে কে পরিচালনা করছে ? কারা নিয়ন্ত্রণ করছে ? এহেন পরিস্থিতিতে মনে হওয়া স্বাভাবিক দেশটা আমলারাই পরিচালনা করছেন, তারাই নিয়ন্ত্রণ করছেন। এদেশে আমলাতন্ত্রের উদ্ভব হয়েছে বৃটিশ আমলে। বৃটিশ শাসকরাই ছিল এই আমলাতন্ত্রের জনক। প্রায় ৭৩ বছর অতিক্রম হলো বৃটিশ রাজশক্তি এদেশ থেকে বিতাড়িত। তথাপিও এদেশে ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা এখনও সুসংহত আছে। ফলে তাদের সৃষ্ট এই আমলাতন্ত্র বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমলাতন্ত্র জেকে বসার কারণেই মন্ত্রণালয়ে লালফিতার দৌরাত্ব যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি আমলারাও অনিয়ন্ত্রিত প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা অর্জন করেছেন। জনগণের স্বচ্ছ ও প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে আমলাদের আধিপত্যবাদী ক্ষমতার প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কারণ জনগণের নির্বাচিত সরকারের নিকট তাদের দায়বদ্ধতা থাকে। তবে জনগণের ভোট ছাড়া আমলাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করলে সেই সরকার অনিয়ম-দুর্নীতি গোপন করবে এটাই স্বাভাবিক। এই দুর্নীতির গোপনীয়তার অর্থ হচ্ছে দুর্নীতিকে জায়েজ করা। রাষ্ট্রীয় অপরাধগুলো জনগণের সম্মুখে প্রকাশ না করা। এক্ষেত্রে আমলা বা পুলিশ প্রশাসনের দুর্নীতি-লুটপাট ও স্বজনপ্রীতি করলে সেই জবাবদিহি করার ক্ষমতা সরকারের থাকে না। ফলে আমলাতন্ত্র নিয়ন্ত্রিত সরকার গড়ে ওঠে।
শুধু দুর্নীতিবাজ আমলারাই বেগমপাড়ার মালিক নন, ধনী ব্যবসায়ী ও কতিপয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদরাও এই মালিকানার অধিকারী। সম্প্রতি শফিকুল ইসলাম শিমুল নামে নাটোর থেকে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কানাডায় আলিশান বাড়ী ক্রয়ের অভিযোগ ওঠে। ‘স্ত্রীর নামে কানাডায় বাড়ি কিনেছেন এমপি শিমুল’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের রাজধানী টরেন্টোয় অবস্থিত স্কারবোরো শহরে স্ত্রীর নামে প্রায় ২ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার খরচ করে ডুপ্লেক্স বাড়িটি ক্রয় করেন। কানাডার আলিশান বাড়ি ব্যতীত নাটোর সদরে জান্নাতী প্যালেস নামে রাজপ্রাসাদ গড়েছেন (দৈনিক সমকাল, ২৯মে ২০২১)। রাজকীয় ভোগবিলাসী এই লুটেরাদের সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। এদের স্ত্রী-সন্তানেরা এই বেগমপাড়ায় থাকেন। রাষ্ট্রীয় এই প্রভাবশালী জনশত্রুরা বিপুল পরিমাণে কালো টাকা বেগমপাড়ায় পাচার করেন। পাচারের এই অর্থ দিয়ে তাদের স্ত্রী-সন্তানেরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।
বেগমপাড়ায় সাহেবদের বেগমরা কিভাবে জীবনযাপন করেন তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। কারণ তারা সেখানে কোন আয় করেন না। অথচ তাদের পার্থিব স্বর্গসুখের জন্য অর্থের কোন অভাব হয় না। এই বিলাসী জীবনের নেপথ্যে আছে কোটি কোটি কালো টাকা পাচারের বিস্ময়কর ব্যবস্থা। ‘অর্থ পাচারকারী সেই ২৮জন কারা ?’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক সচিবের স্ত্রী-কন্যা থাকেন কানাডায়। সচিব থাকার সুবাদে ঐ মন্ত্রণালয়ের একাধিক প্রকল্পের কাজ করা বিদেশি এজেন্টরা সুকৌশলে বেগমের কাছে নিয়মিত অর্থ সরবরাহ করছেন। আবার এই টাকার একটা অংশ কানাডায় আয় দেখিয়ে দেশে রেমিটেন্স হিসেবে পাঠানো হয়। সেই বৈধ টাকা দিয়ে ঐ সাবেক সচিব ঢাকায় দামি ফ্লাটও কিনেছেন। এই কৌশল ব্যবহার করার কারণে বিদেশে ঘুষের টাকা পরিশোধের কোন প্রমাণ থাকে না। অর্থ পাচারের নয়া নয়া কৌশলে শুধু আমলারাই নয়, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদরাও যুক্ত আছেন। তারা প্রথমে হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে টাকা পাঠান। সেই টাকা মধ্যপ্রাচ্যে আয় দেখিয়ে কানাডার কোন ব্যাংক হিসাবে নিয়ে আসা হয় (সমকাল, ২৪ নভেম্বর, ২০২০)। বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট হিসাব সম্বলিত প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, অর্থ পাচার সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই)। প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ২০০৮ সালে ৫২৮ কোটি ডলার, ২০০৯ সালে ৪৯০ কোটি ডলার, ২০১০ সালে ৭০৯ কোটি ডলার, ২০১১ সালে ৮০০ কোটি ডলার, ২০১২ সালে ৭১২ কোটি ডলার, ২০১৩ সালে ৮৮২ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে ১ হাজার ১৫১ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে; (প্রথম আলো, ৮জুন ২০২১)। সর্বমোট ৫ হাজার ২৭২ কোটি ডলার দেশ থেকে পাচার হয়েছে। এভাবেই জনগণের অর্থ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার শূন্য হচ্ছে। এই দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা মালিকদের ভূমিকা দেখে মনে হয়, বাংলাদেশ তাদের আপন ঠিকানা নয়, এদেশ তাদের জন্য নিরাপদ নয়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো তাদের আপন ঠিকানা। কারণ ওখানেই তারা সুস্থ থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন। অথচ দেশের জনগণের জীবন যে বিপন্ন হবে তা নিয়ে তারা বিন্দুমাত্র ভাবিত নয়। এই পরিস্থিতিতে বলতেই হয়, আমরা অদ্ভুত এক দেশে বসবাস করছি। কারণ দেশ ও জনগণের উন্নয়নের আলো জ্বালাবার জন্য যেসব বাঙালি শাসকদের হাতে লণ্ঠন ধরার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারাই অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করে দেশটাকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। এই নব্য শাসকরা বিলেতি লাট সাহেবদের মসনদ দখল করে নিয়েছেন। এখন তারাই হয়েছেন দেশীয় লাট ভাই। এই লাট ভাইয়েরা হচ্ছে বিলেতি লাট সাহেবদের নব্য সংস্করণ।
এই প্রতারক শাসকদের রাজনীতির লক্ষ্য ও ভূমিকাকে রঙ্গব্যঙ্গ করে উপস্থাপন করেছিলেন সরস লেখক, অধ্যাপক ও রাজনীতিবিদ আসহাব উদ্দীন আহমদ (প্রয়াত এই রাজনৈতিক লেখক কয়েকটি গল্পের সন্নিবেশে ‘ভূমিহীন কৃষক ও কড়িহীন লেখক’ নামক গ্রন্থ) ‘রসচুরি’ নামক গল্পে তিনি বলেছেন,‘চোরকে সবাই ঘৃণা করে। ডাকাতকে সবাই ভয় করে। চোরকে সবাই ধিক্কার দেয়। ডাকাতকে দেখলে সকলে চিৎকার দেয়। চোর ধরা পড়লে কিল ঘুষি মারার জন্যে সবাই ঘর থেকে দৌড়ে যায়। ডাকাত পড়লে গৃহস্থের আর্তনাদেও কেউ সহজে ঘর থেকে বের হতে চায় না।সুচিন্তিতভাবে লেখক তাঁর রসাত্মক গল্পে চোর এবং ডাকাতের বৈশিষ্ট্য উপস্থাপন করেছেন। এই বৈশিষ্ট্যের তুলনা করে বর্তমান রাষ্ট্রের ক্ষমতাবান দুর্নীতিবাজদের ‘দস্যু’ উপাধিতে ভূষিত করা যায়। এদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা কোন সমালোচনা করতে পারি না। কারণ মন্তব্য করলেই রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কালাকানুনে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হবে। ভাবতে অবাক লাগে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গোপনীয় নথি চুরি’র দায়ে আটক করা হয়, কারাভোগ করতে হয়। অথচ ক্ষমতার প্রভাবে যেসব আমলারা পুকুর চুরি করছেন তারা কখনো এজন্য কুণ্ঠিত নন। পুকুর চুরির জন্য তাদের কোন বিচার বা শাস্তি হয় না।
সরকার পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরদের পিঠমোড়া দিয়ে কণ্ঠরোধ করতে। এই পিঠমোড়া মানুষেরাই হচ্ছে আমাদের দেশের জনগণ। জীবন সংগ্রামে জনগণের রূঢ় বাস্তবতার মধ্য দিয়ে এগুতে হচ্ছে। সীমাহীন পরিশ্রম অথচ অনুপযুক্ত বেতনে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। একারণে আমাদের মানসম্মত জীবন নিম্নমুখী। ঘরের বেগম ও সন্তানদের নিয়ে সংসার পরিচালনা করা বড্ড কঠিন। ছেলেমেয়েদের শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করতে যেয়ে অর্থসঙ্কটে পড়তে হয়। স্ত্রী-সন্তানদের শখ পূরণে প্রায়ই নিশ্চুপ থাকতে হয়। তবুও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এই কঠিন দুনিয়ায় চলতে হয়। অর্থের কষাঘাত সত্ত্বেও তাদের সখ, স্বপ্ন পূরণের জন্য নিরন্তর ছুটে চলে।
জনগণই এদেশের মালিক। অথচ মুষ্টিমেয় আমলা ও লুটেরা রাজনীতিবিদদের হাতে দেশটা জিম্মি হয়ে আছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং ও মুদ্রা পাচার আইন আছে। এ আইন ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতীত বিদেশে অর্থ স্থানান্তর এবং সেই অর্থে সম্পদ অর্জন এই দুই আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। বিস্ময়ের সাথে বলতেই হয়, সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। অপরাধ-অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধে দেশে আইন আছে, প্রয়োগ নেই। মন্ত্রণালয় আছে, অথচ ব্যবস্থা নেওয়ার কোন শক্তি নেই। দুর্নীতি দমনের জন্য কমিশন আছে, কিন্তু এই কমিশনের ভূমিকা ঠুঁটো জগন্নাথের মতো। এভাবেই কী তারা অর্থ পাচার ও লাগামহীন দুর্নীতি করেও মুক্ত থেকে যাবে? এইসব নিয়ন্ত্রণহীন প্রতাপশালী ক্ষমতার আসনে বসে মালিকেরা ভুলে যান, রাষ্ট্রের প্রভূত ক্ষমতার সিংহাসন বেহাত হতে এক মুহূর্তও লাগে না।
তারিখঃ ০৫.০৬.২০২১