ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সময়োপযোগী এবং কার্যকর নেতৃত্বে করণীয়
করোনা দুর্যোগ প্রতিরোধে করণীয় কর্তব্যসমূহ আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে উপস্থাপন করছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আবার দফা আকারে সবার সামনে নিয়ে আসতে চাই।
জাতীয় ও বৈশ্বিক এই দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, যৌথভাবে কাজ করতে হবে। তবে সরকারকে সর্বাগ্রে অতিদ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে। অন্যথায় সমগ্র দেশবাসীকে হয়তো অতিমূল্যবান জীবনের বিনিময়ে করোনা নামক অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করতে হতে পারে। আর অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণও এযাবত কালের সকল রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।
অতএব ঐক্যবদ্ধভাবে এই সংকট মোকাবেলায় সরকারের সময়োপযোগী এবং কার্যকর নেতৃত্বে যে বিষয়গুলোতে গূরুত্ব দিতে হবে:
১. আতংক কাটাতে সঠিক তথ্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অবাধ রাখতে হবে। বিনামূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে।
২. সন্দেহভাজনদের জন্য শতভাগ সংগনিরোধ (কোয়ারেন্টাইন) ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. সব উপজেলা হাসপাতালে করোনা নির্ণয়ের পর্যাপ্ত পরিমাণ কিটস ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) নিশ্চিত করতে হবে।
৪.ডাক্তার-নার্স-মেডিকেল স্টাফদের জন্য ঝুঁকি ভাতা, জীবন বীমা ও পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিতে হবে।
৫. মারাত্মক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারাদেশে বিশেষায়িত ও অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে।
৬.অবিলম্বে সব উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ইউএনও’র সমন্বয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের নিবন্ধিত করে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করতে হবে।
৭.গার্মেন্টসহ সকল শ্রমিকের স্ববেতন ছুটি দিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। তাদের জরুরি খাদ্যের যোগান দিতে অবিলম্বে সকল ওয়ার্ড-ইউনিয়নে গণরেশনিং চালু করতে হবে।
৮.অবিলম্বে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে দেশব্যাপী মশা নিধন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
৯. বাজেট প্রণয়নে দূর্যোগ মোকাবিলায় অগ্রাধিকার চাই। পোশাকশিল্প সহ সকল উৎপাদনমুখী খাতে সুলভ ঋণ দিতে হবে।
১০. দ্রব্যমূল্য নায্য রাখতে অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।