You are currently viewing পরিবহন: শহরটাকে মানুষের শহর বানাবার জন্য নামুন

পরিবহন: শহরটাকে মানুষের শহর বানাবার জন্য নামুন

দুনিয়াতে মনে হয় না বাংলাদেশের মত বাস ভাড়া আর কোন শহরে আছে, যেখানে যাত্রী টাকা দেয় এত বেশি, শ্রমিক টাকা পায় এত কম, এবং মালিকররাও ব্যক্তিগতভাবে সামান্য লাভ করে।

রহস্যটা কি?

সোজা। ভয়াবহ একটা লুণ্ঠনবৃত্তি। পরিকল্পিত একটা গুন্ডাতন্ত্র পরিবহন খাতে বিপুল মুনাফা শুষে নিচ্ছে। বাকি সকলে জিম্মি হচ্ছেন।

পরিবহনের নৈরাজ্য বন্ধ করো। ঢাকা সহ প্রতিটা শহরে সকল বাস থাকতে হবে সিটি কর্পোরেশন এর অধীনে। ভাড়ায় কোন মুনাফা যুক্ত করা হবে না। প্রতিটা মানুষ যেন শান্তি আর স্বস্তিতে কর্মক্ষেত্রে কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত থাকতে হবে। থাকতে হবে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ৭ ঘন্টার কর্মদিবস, কেননা তাদের পরিশ্রমটা অন্য বহু পেশার চাইতে বেশি কষ্টকর, যাত্রীর নিরাপত্তার জন্যও তাই দরকার। এবং মানসম্মত মজুরির নিশ্চয়তা তাদের দিতে হবে। এর বাইরে থাকবে উবার, পাঠাও, গাড়ি, রিকশা ও অন্যান্য বাহন।

পরিবহনের মুনাফাটা এই শহরের গুণ্ডাতন্ত্র আর পুলিশতন্ত্র ভাগাভাগি করে নিয়ে নেয়। যাত্রী বনাম শ্রমিক মারামারিতে নয়, বরং উভয় মিলে মেয়রকে ঘেরাও করার কর্মসূচি নিতে হবে। বিনা ভোটেও যদি গদি দখল করে, মেয়রের গদি দখল করলে তাকেই ধরতে হবে কাজ করার জন্য।

নাগরিকদের যে কোন অংশই কথাটা তুলতে পারেন, সত্যি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এই দায়টা সবার চাইতে বেশি। তারা সংগঠিত, তাদের শক্তি সম্পর্কে বাকিদের ধারণাও আছে।

তাই শুধু অর্ধেকটা ভাড়ার অধিকার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না, শহরটাকে মানুষের শহর বানাবার জন্য নামুন।

ফিরোজ আহমেদ, সদস্য, রাজনৈতিক পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন

#১১/৪/উম

Leave a Reply