You are currently viewing বিদ্যুতের দাম ৭মবারের মত বৃদ্ধির পাঁয়তারার বিরুদ্ধে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে বক্তারা

বিদ্যুতের দাম ৭মবারের মত বৃদ্ধির পাঁয়তারার বিরুদ্ধে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে বক্তারা

বিদ্যুতের দাম ৭মবারের মত বৃদ্ধির পাঁয়তারার বিরুদ্ধে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে বক্তারা

লুটপাটের তহবিল জোগাড় করতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টা চলছে

বিদ্যুৎ-গ্যাস-তেলের দাম বৃদ্ধির যে কোন চেষ্টার বিরুদ্ধে হরতাল সহ সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করা হবে

আজ ৪ ডিসেম্বর বুধতার বিকাল ৪টায় বিদ্যুতের দাম ৭মবারের মত বৃদ্ধির তৎপরতার প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু প্রমূখ।

জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে বলেন, বিদ্যুত বিষয়ে এই সরকার প্রথম থেকেই প্রতারণা এবং চুরির আশ্রয় নিয়েছে। গত ১১ বছরে তারা ভাড়াভিত্তিক কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কোম্পানিগুলোকে ৬৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি ভর্তুকি দিয়েছে। বিদুতের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির একমাত্র কারণ এটিই- কুইক রেন্টালের নামে লুণ্ঠন। এই সরকার সিন্ডিকেটের সরকার, বিদ্যুৎ হোক পেঁয়াজ হোক, সিন্ডিকেট বেঁধেই তারা জনগণের ওপর লুটপাট চালায়। জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বলা হয়েছিল কুইক রেন্টাল স্বল্পমেয়োদে কার্যকর থাকবে, এর মাঝে সরকার বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করবে যেখানে সস্তায় বিদুৎ মিলবে। কিন্তু শুরুতে ২০১৩ সালের কথা বলে এখন তা ২০১৯ পর্যন্ত বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে, এরপর এখন বলা হচ্ছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কুইক রেন্টাল চলবে। অর্থাৎ কতিপয় লুটেরা গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ নিয়ে লুটপাটের দায় জনগণকে দশকের পর দশক ধরে বয়ে বেড়াতে হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের মত একটা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের যখন দাম বাড়ে, তখন তার চক্রবৃদ্ধি প্রভাবে পরিবহনের খরচা বাড়ে, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে, বাড়ে জীবনযাত্রায় ব্যয়। একদিকে বিদ্যুতের বাড়তি দামের কারণে গরিব মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, অন্যদিকে কলকারখানার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের পণ্য প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছে। এরফলে নতুন কলকারখানা গড়ে উঠছে না, দেশের পণ্য সক্ষমতা হারাচ্ছে ভারতীয় ও চীনা পণ্যের কাছে। জোনায়েদ সাকি আরও বলেন যে, ভোটচুরির সরকার এখন আর জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কিংবা তাদের মতামতের তোয়াক্কা করে না, এই কারণেই তারা যেভাবে খুশি সেইভাবে লুণ্ঠন আর দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ঢাকা শহর যে আজ দূষণের দিক দিয়ে বিশ্বের মাঝে শীর্ষে, তার প্রধান কারণ দুর্নীতি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি ঘোষণা করেন যে, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি পেলে জনগণ সর্বাত্মক হরতাল পালন করে তার জবাব দেবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিইআরসি-র দায়িত্ব জ্বালানির দাম বিষয়ে সব পক্ষে মতামত শুনে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু বিইআরসি হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের হুকুম তামিল করা প্রতিষ্ঠানে। সেখানকার শুনানিতে বিশেষজ্ঞরা দেখিয়ে দিয়েছেন, চুরি বন্ধ করা গেলে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব, এমনকি পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন করা হলেও সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাইতে সরকারের মনোযোগ লুণ্ঠন ও দ্রুত টাকা বানাবার প্রকল্পে। কুইকরেন্টাল প্রকল্পগুলো তাদের সেই তৎপরতারই ফলাফল। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। বরং হরতাল সহ যে অন্যান্য রাজননৈতিক কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা প্রতিহত করা হবে।

সমাবেশে শেষে একটি মিছিল পলটন মোড়, জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বর, বায়তুল মোকাররম ঘুরে আবারও প্রেসক্লাবে আসে, এরপর কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতা জুলহাসনাইন বাবু।
 

Leave a Reply