বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে শ্রমিক-কৃষকরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অথচ এই শ্রমিক-কৃষকদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে চলে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন। তারই সর্বশেষ উদাহরণ, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাÐ। আরও একটি সংযোজন। এই অগ্নিকাণ্ডে নির্মমভাবে ব্যবস্থাপকসহ ৫২ জন শ্রমিকের করুণ মৃত্যু হয়। একই ঘটনা ঘটেছিল বিগত ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে। ঘটেছিল সেদিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ঐ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ জন পোশাক শ্রমিক পুঁড়ে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সেই শোক থিতিয়ে আসতে না আসতে অনুরূপ আরেকটি নতুন বেদনাবিধূর ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে দেশের সচেতন মানুষ হতবাক বিমূঢ়। ইতোপূর্বে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধস স্মরণকালের মর্মান্তিক একটি ঘটনা। এ ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন ১১৭৫ জন শ্রমিক।
এভাবেই বারে বারে কারখানা মালিকদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের বলি হচ্ছেন শ্রমিকরা। আশ্চর্যজনকভাবে এ সকল মর্মন্তুদ ঘটনায় শ্রমিকদের জীবন নিভে গেলেও মালিক ও সরকার থাকেন নির্লিপ্ত।
কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুসের এ কারখানাটি সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড এ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড-এর। কারখানাটি ৬ তলা বিশিষ্ট। এখানে সেজান জুসের কর্ক ও পেইন্টিংয়ের কাজ হতো। এ কারখানায় শ্রমিকরা তিন শিফটে কাজ করতেন। ২ হাজারেরও ওপর শ্রমিক কর্মরত ছিল। গত ৮ জুলাই ২০২১ তারিখ বিকেল সাড়ে ৫টায় অগ্নিকাণ্ডের আকস্মিকতায় শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। মৃত্যুবরণ করেন ৫২ জন শ্রমিক। অগ্নিদগ্ধে নিহত ও জীবিত শ্রমিকরা তখনও বিগত জুন মাসের বেতন পাননি। কারখানার সিংহভাগ শ্রমিক মাত্র ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা বেতন পান। এ সামান্য বেতনে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করেন। মুনাফালোভী মালিকরা ইচ্ছে করেই শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সঙ্কটে রাখেন। ফলশ্রæতিতে শ্রমিকদের অতিরিক্ত টাকার জন্য ওভারটাইম করতে হয়। শ্রমিকরা যেমন মাসিক বেতন ঠিক সময় পান না, তদ্রæপ কঠোর শ্রমের ওভারটাইমের টাকাও সময় মতো পান না। মাসের পর মাস বকেয়া থাকে তাঁদের প্রাপ্য টাকা। আর এই বকেয়া আদায়ের জন্য তাদের আন্দোলন করতে হয়, বিক্ষোভ করতে হয়, সড়ক অবরোধ করতে হয়। অর্থের অভাবে, বেতন-বোনাস না পেয়ে কষ্টে থাকা শ্রমিকরা আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে বধ হবেন কে-ই-বা তা জানতো। আগুনে পোড়া জীবিত শ্রমিকরাও বেশ শঙ্কিত। তাদের রুটি-রুজির প্রশ্ন বড় আকার ধারণ করেছে। শুধু তাই নয়, কারখানা কবে চালু হবে, সেটিও তাদের জানা নেই।
অমানবিক মালিকরা নৃশংস হবেন এটাই তো স্বাভাবিক। তাদের নির্দয় হতে বুক কেন কাঁপবে? এরাই তো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এদের শিকড় রাষ্ট্র ও রাজনীতির অত্যন্ত গভীরে। প্রশাসন, জাতীয় সংসদ, মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্র ও সরকার এদের নিয়ন্ত্রণে। তাই মালিকরা প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা না করে শিশু শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
দারিদ্র্যপীড়িত হয়ে শিশুরা তাদের শৈশব বিক্রি করে দিচ্ছে। তাই শিশুরা অল্প বেতনে কাজ করতে রাজি হয়ে যায়। এসব শিশু অভাবগ্রস্ত পরিবারের অর্থ জুগিয়ে থাকে। ফলে তাদের পড়াশোনার স্বপ্ন ভূলুণ্ঠিত হয়। এভাবে শিশুরা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে। কঠিন বাস্তবতার শিকারে পরিণত হয়েছে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ শামিম ও মোহাম্মদ নোমান। যদিও নোমান ছাত্র নয়। তাদের উভয়ের বাড়ী ভোলায়। পড়াশোনার স্বপ্নে বিভোর শামিম এই কারখানায় চাকরী নিয়েছিল। কারণ অভাবগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। মোহাম্মদ নোমানের পড়াশেনার স্বপ্ন মাটি চাপা দিতে হয়েছে। তাদের কাঁধে পড়েছে পরিবারের অর্থনৈতিক জোয়াল। দুজনেই এখন নিখোঁজ। নোমান নিখোঁজ হওয়াতে তার বাবা আবদুল মান্নান মাতব্বর শোকে মাতম করছেন। নোমান পেটের দায়ে চাকরী করতে এসেছিল। ছেলে মাসে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা দিত। ‘এখন কী কইরা খামু, মাথায় ঢোকে না‘ এভাবেই বিলাপ করছিলেন শোকে মুহ্যমান পিতা আবদুল মান্নান মাতব্বর (প্রথম আলো, ১২ জুলাই ২০২১)।
শ্রমিক মৃত্যুর এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। কারখানাগুলোতে নিছক দুর্ঘটনা ঘটলে সর্বসাকুল্যে দু-একবার অগ্নিকাণ্ড ঘটতো। তাই এই ঘটনাকে বলতেই হবে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তা না হলে শিল্পকারখানায় ধারাবাহিকভাবে কেন অগ্নিকাণ্ড ঘটছে? কেন শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে?
আমরা যদি ৩ দশক পেছনের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো অসংখ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। অগ্নিকাণ্ডের মামলায় সাজার নজির নেই শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, “…১৯৯০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সারেকা গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন পুড়ে মারা যান। ৯৫ সালে ঢাকার ইব্রাহিমপুরে অবস্থিত লুসাকা অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন কর্মী প্রাণ হারান। ৯৬ সালে ঢাকার তাহিদুল ফ্যাশানে ১৪ জন এবং মিরপুর ১নং মাজার রোডের রহমান অ্যান্ড রহমান অ্যাপারেলসে আগুনে ২২ জন শ্রমিক মারা যান। ২০০০ সালের ২৫ নভেম্বর নরসিংদীর চৌধুরী নিটওয়্যার লিমিটেডে আগুনে ৫৩ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে। একই সালে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ীতে গ্লোব নিটিং ফ্যাশন লিমিটেডে ১২ জন শ্রমিক অগ্নিকাণ্ডে মারা যান। ২০০১ সালে মিরপুরে অবস্থিত মিকো সোয়েটার লিমিটেডে আগুনের গুজবে পদদলিত হয়ে ২৪ শ্রমিক মারা যান। ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে সান নিটিং গার্মেন্টে আগুনে ২০ জন শ্রমিক মারা যান। ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ ১২৫ জনের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটিও মামলা হয়নি। দায়ীরা সকলে রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে (দৈনিক যুগান্তর, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১)।
এ যাবৎকালে বিচারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে মালিকদের কাছে অসহায় শ্রমিকরা একের পর এক বলি হচ্ছেন। কেন মালিকের শাস্তি হয় না এর কারণ অনুসন্ধান করতে পারলেই প্রকৃত ঘটনা জনগণের সামনে প্রকাশিত হবে। সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিসের হিসাব মতে, গত ৫ বছরে গার্মেন্টস ও কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৫৮৩৪টি। এ যাবৎ যতগুলো কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ভবন ধস, বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তার কোনটিরই বিচার হয়নি। কেউ শাস্তি পায়নি। তার জলন্ত উদাহরণ হচ্ছে রানা প্লাজা ধস ও তাজরীনের ঘটনা। এই ঘটনাসহ অসংখ্য অগ্নিকাণ্ড বা ভবন ধসের কারণ অনুসন্ধান করতে তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। এই তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কোনদিন তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। কারণ একদিকে তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিরা থাকেন সরকারি কর্মকর্তা বা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট, অন্যদিকে কারখানাগুলোর মালিকরাও থাকেন শাসক দল সংশ্লিষ্ট। ফলে তারা বেআইনীভাবে কারখানা পরিচালনার দুঃসাহস দেখান। সেজান জুসের মালিকও এই তালিকার বাইরে নন। একারণে সজীব গ্রæপের চেয়ারম্যান আবুল হাসেমসহ ২ পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তারা জামিন পেয়েছেন। উল্লেখ্য, সেজান জুসের মালিকও আওয়ামী লীগের টিকিটে লক্ষ্মীপুর থেকে সংসদ নির্বাচন করেছিলেন।
কারখানাগুলোতে শিল্প আইন মানা হচ্ছে কিনা তার জন্য কারখানা পরিদর্শক বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে কারখানা মালিক সকল নিয়ম-কানুন মানছেন কি-না, কারখানা খোলার জন্য লাইসেন্স আছে কি-না, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে কি-না, আইন অমান্য করে শিশু শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছেন কিনা, কারখানা চালু রাখার জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত কিনা। এসব বিষয় সঠিকভাবে না দেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা দুর্নীতি-অনিয়ম-অবহেলায় যুক্ত থাকেন। অর্থের বিনিময়ে এসব শিল্প কর্মকর্তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে মালিকদের কারখানা চালুর ছাড়পত্র দেন। একারণে কারখানাও চলে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে। সেজান জুসের কারখানাও অনিয়মের ভেতর দিয়েই পরিচালিত হচ্ছিল। সজীব গ্রুপের এই কারখানা ভবন চারদিকে খোলা ছিল না। কারখানায় শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বেশ দুর্বল। ভবনটিতে জরুরি কোন বহির্গমন সিঁড়ি ছিল না। ফায়ার এলার্ম বা অগ্নিসঙ্কেতের ব্যবস্থা ছিল না। কারখানার ফটক তালাবদ্ধ ছিল।
এই অনিয়মের দায় রাষ্ট্র বা সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না। যদি দুর্নীতিগ্রস্ত এই কর্মকর্তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিচার করা যায় তাহলে কারখানায় দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। একই সঙ্গে মালিকপক্ষকে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের দায় নিতে হবে। তাদেরকেও বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট আইন মেনে শিল্পকারখানা চালু করলে মালিকরা নিয়ম মানতে বাধ্য।
অনিয়মকে নিয়ম করে সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকরা পুড়ে মরছে। মাংস পুড়ে ঝলসে যাচ্ছে। হাড় পুড়ে কয়লা হচ্ছে। শ্রমিকরা প্রাণে বাঁচার জন্য শেষ আকুতি জানাচ্ছে। মৃত্যু উপত্যকায় পরিবারের সদস্যরা বিলাপ করছেন। বকেয়া বেতন-বোনাস-ওভারটাইম না পেয়ে শ্রমিকদের মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশিত হচ্ছে। তখন শ্রমিকের ওপর রাষ্ট্রীয় লাঠি উঠছে। সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার পুলিশ হামলা করছে। এক্ষেত্রে সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছেন। কারণ শ্রমিকের প্রাণ গেলেও দেশে যখন যারাই সরকারে থাকেন তাদের কিছু যায় আসে না। দেশে নির্বাচিত-অনির্বাচিত যারাই ক্ষমতাসীন থাকে প্রত্যেকের আচরণে কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। কোনো শাসকই জনগণের মৌলিক দায়িত্ব গ্রহণ করে না। অথচ জনগণ ছাড়া সরকার অচল এটা তারা বেমালুম ভুলে যান। ভুলে যান জনগণই সরকারের অক্সিজেন।
জীবন অমূল্য সম্পদ। এর মূল্য কেউ দিতে পারে না। জীবনের মূল্য টাকা দিয়েও পরিশোধ করা সম্ভব নয়। অথচ মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে শ্রমিকের জীবন ক্রয় করে নিচ্ছেন। মালিকদের কাছে শ্রমিকের জীবনের মূল্য এভাবেই নির্ধারিত হয়। কিন্তু এটাও সত্য অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে একজন শ্রমিকের সারাজীবনের আয় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তার পরিবারের জীবনযাপন অনিশ্চয়তায় আটকে যায়। তাদের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়। বৃদ্ধ পিতা-মাতা থাকলে আহার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আইএলও কনভেনশনের ১২১ ধারায় আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রত্যেক নিহত শ্রমিকের সারাজীবনের আয়ের সমপরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা উচিৎ। যদি আহত শ্রমিকদের উন্নত চিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ প্রদান ও নিখোঁজ শ্রমিকদের খুঁজে বের করা, নিহত-আহত-নিখোঁজ শ্রমিকদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা, জীবনযাত্রার মান ঠিক রেখে শ্রমিকদের সম্মানজনক বেতন প্রদান, একই সাথে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও শিল্পকারখানা সংশ্লিষ্ট আইনগুলো পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে প্রয়োগ করা হলে সকল কারখানায় শৃঙ্খলা ফিরে আনা সম্ভব হবে।
লেখক: মুনীর চৌধুরী সোহেল, সদস্য, জাতীয় পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন
২০-০৭-২০২১
#১১/৪/উম