ছুটির ফাঁদে শ্রমিক

ছুটির ফাঁদে শ্রমিক

কথা ছিল, আমাদের কাজ শেষ করার
দিনমান হাড়ভাঙ্গা খাটুনি দেয়নি ক্লান্তির বেশি কিছুই
কোনমতে বেঁচে থাকা ছাড়া দেয়নি কিছুই
কখনো ভাববার জন্য জোটেনি একটা ঘণ্টাও
আমরা দেখতে চাই সূর্যের আলো, চাই প্রাণ ভরে নিতে ফুলের গন্ধ
জানি  ঈশ্বরও চেয়েছে তাই, আমাদের আট ঘণ্টা পাওনা তাই
দোকান, শিপ ইয়ার্ড, মিল-কলকারখানা সব জায়গা থেকে সবাই একসাথে চাইছি, সব শক্তি নিয়ে ডাকছি
আট ঘণ্টা কাজ, আট ঘণ্টা বিশ্রাম আর আট ঘণ্টা আমাদের যা ইচ্ছা তাই
(দিনে আট ঘণ্টা- গানের কথা)

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে মে দিবসের সূত্রপাত। মে দিবসের কয়েক বছর আগে থেকেই আইজাক. জি ব্ল্যাংকার্ডের কথায় এবং রেভ জেসের সুরে দিনে আট ঘণ্টা  নামে এই গানটি শ্রমিক আন্দোলনে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ব্ল্যাংকার্ড এবং জোনস দুজনই আমেরিকার বোস্টনের অধিবাসী ছিলেন। শ্রমিকের দুঃসহ জীবন আর প্রকৃতির টানে মিশেল শব্দে শক্তিশালী এ গানটি আন্দোলনকে নতুন ভাষা দেয়। এটি পরিণত হয় আন্দোলনের অংশে ও শক্তিতে। এই গান যখন শ্রমিকের যন্ত্রের মতো জীবন এবং প্রাণ নিঃশেষের গল্প বলছে সুরে সুরে তখন শ্রমঘণ্টা কমানোর দাবিতে চারদিক মুখরিত। আমেরিকা-ইউরোপসহ শিল্পোন্নত দেশগুলো শ্রমিক আন্দোলন, ধর্মঘট ও বিরাট বিরাট সমাবেশ হচ্ছে আট ঘণ্টার দাবিকে প্রধান করে। এই গানটি বলে দেয় কিভাবে ওই সময়ে শ্রমিকরা তাদের তারুণ্য-প্রাণ-পুষ্টি-সামর্থ্য সব বিসর্জন দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করত। ১৪ ঘণ্টা, ১৬ ঘণ্টা, কখনো ১৮ ঘণ্টা বা  আরও বেশি। এর এদিক ওদিক হলেই নেমে আসত নির্যাতন। প্রাণ ভরে খোলা আকাশের নীচে নিঃশ্বাস নেওয়া; সূর্যের আলো ঠিকমতো দেখা বা গায়ে মাখার সুযোগ তাদের হয়নি বললেই চলে। উল্টো ১ মে ধর্মঘট এবং ৩ মের আট ঘণ্টার জন্য আন্দোলন করার অপরাধে আমেরিকার শিকাগো শহরে হতাহত হয়ে, গুলি খেয়ে এবং ফাঁসীতে ঝুলে প্রাণ হারায় শ্রমিকরা। শ্রমিকদের এই আত্মদানের মধ্য দিয়ে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসাবে মর্যাদা পায়। আট ঘণ্টা শ্রম পায় আইনি স্বীকৃতি। সাথে শ্রমিকদের পাওয়া না পাওয়া মজুরী- নিরাপত্তা -ট্রেড ইউনিয়ন প্রসঙ্গ দুনিয়াব্যাপী দেশের সামনে আসে।

১৩৩ বছরে আট ঘণ্টা শ্রমের স্বীকৃতিসহ নানা আইন প্রণয়ন হয়েছে সব শ্রমিকদের জন্য। এখন সাপ্তাহিক ছুটি, আট ঘণ্টা শ্রম এগুলোও পুরনো দাবি বলেই অনেকে ভাবেন। কিন্তু শিল্পোন্নত দেশের মতো এত বছরে আমাদের দেশের শ্রমিকের অবস্থা কী খুব বদলেছে? আজ পাঠকদের বিশেষভাবে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের বিষয়ে বলব। যে খাতের বয়স প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই। কেউ কেউ বলেন ‘‘এই শ্রমিকরা এখন আমাদের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে ৮,০০০ টাকা মজুরিসহ অনেক সুবিধা পান। আগের অবস্থা আর নেই।” বাস্তবেও কী তাই? মজুরী, নিরাপত্তা, ট্রেড ইউনিয়নের মতো বড় সমস্যা নিয়ে প্রায়ই আমরা আলাপ করি। নিষ্ঠুর বাস্তবতার আরেকটি দিক নিয়ে মে দিবস উপলক্ষে বলব পাঠককে। যেটি ছোট হলেও এর প্রভাব ব্যাপক। প্রায়ই যা চোখের আড়ালে থাকে সবার। এই আলাপ শ্রম ঘণ্টা ও ছুটির ফাঁদ নিয়ে।

আট ঘণ্টা শ্রম শ্রমিকের আইনি অধিকার হিসাবে এখন সর্বত্র স্বীকৃত। কিন্তু এও তো সত্য দেশে এমন শ্রমিক পাওয়া কঠিন যারা আট ঘণ্টা কাজ করে চাকরি বা জীবন দুই-ই রক্ষা করতে পারেন; কিংবা ওভার টাইম না করে ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। উল্টো ওভার টাইমসহ দৈনিক ১১-১২ ঘণ্টা কিংবা কখনো ১৪ বা ১৬ ঘণ্টাও কাজ করতে বাধ্য হন তারা। লম্বা সময় কাজ, অল্প ঘুম আর সুষম খাবারের অভাব ৮০০০ টাকার মজুরের শরীরে কতটুকু পুষ্টি দেয় সেই জানা আলাপ আর না-ই বাড়াই। বরং শ্রম ঘণ্টা বৃদ্ধি পাওয়া এবং ছুটি কমে আসার বিষয়টি নজরে ছুটি কথায় আসি।

প্রত্যেক পেশাজীবী, শ্রমজীবীকে আইন অনুযায়ী নানা রকম ছুটি দেওয়া হয়। সরকারি কর্মচারীরা ছুটি পান সপ্তাহে দুই দিন। কোনো কোনো বেসরকারি সংস্থা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ছুটি পান দেড় দিন। পোশাক ও পরিবহন শ্রমিকসহ কারখানার শ্রমিকরা পান সপ্তাহে এক দিন (বছরে প্রায় ৫২ দিন)। এছাড়া আছে নৈমিত্তিক ছুটি (১০ দিন); অসুস্থতা জনিত ছুটি (১৪ দিন); অর্জিত বা বাৎসরিক ছুটি (১৭ দিন) উৎসব ছুটি (১১ দিন); মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ (১৬ সপ্তাহ) মোট আট ধরনের ছুটি। এসব ছুটি যে কোনো মানুষের কাজে নিয়মিত থাকা; শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা এবং উৎপাদনের গতি সচল রাখার জন্য জরুরি। সেই বিবেচনাতেই ছুটির ব্যবস্থা করার কথা। তাহলে ফাঁক কোথায়? চলুন পাঠক কয়েকটি প্রশ্ন দিয়েই এ বিষয়ের ভেতরটা দেখি। সরকারি কর্মচারী বা অন্যান্য শ্রমিকের কী দুইরকম স্বাস্থ্য? তা না হলে দুই ক্ষেত্রে ছুটি দুই রকম কেন? ১০ দিনের ক্যাজুয়াল লিভ বা ১৪ দিনের সিক লিভ এর সুবিধা শ্রমিকরা বেশির ভাগ সময়ই পান না কেন? শ্রমিকরা চিন্তা করার অবসর পান কখন?

ছবিসূত্রঃthedailystar.ne

টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করা এবং অপুষ্টি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকাসহ নানা কারণে প্রায়শই ছোট বড় নানা রোগে আক্রান্ত হন শ্রমিকরা। তারপরও প্রায়ই তারা ১৪ দিন অসুস্থতার ছুটি পান না। পারিবারিকসহ অন্যান্য প্রয়োজনে পাওনা ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি থেকেও হিসেবের মারপ্যাঁচে বঞ্চিত হন প্রায়ই। প্রণোদনা হিসেবে যে হাজিরা বোনাস রাখা হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা তা কাটা যায় যদি কেউ এক দিনও ক্যাজুয়াল লিভ কাটান। ফলে নিজের অজান্তে শ্রমিক হাজিরা বোনাসের জন্য নৈমিত্তিক ছুটির সুবিধা তুলে দেয় মালিকের কাছে। এভাবে ছুটির ফাঁদ তৈরি করে উপকৃত হয় মালিকপক্ষ আর শারীরিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্রমিক।

বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের আরও কয়েকটি ছুটি নিয়ে বললেই বোঝা যাবে ছুটির ফাঁদে কিভাবে তারা জর্জরিত। জানা যাবে, বাংলাদেশর অর্থনীতির প্রাণ এবং রপ্তানি আয়ের প্রধান শক্তি এই শ্রমিকরা আদৌ দিনের আলো দেখা কিংবা খোলা বাতাসে নিঃশ্বাস নেবার সুযোগ পান কী না। জানা যাবে, শ্যাম বর্ণের শ্রমিকদের হঠাৎ গায়ের রং বদলে ‘ফর্সা’ বা ফ্যাকাসে হওয়ার রহস্য ।

বছরে প্রায় ৫২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি বা উৎসব ছুটির আয়োজনের মাঝেও রয়েছে বিরাট শুভঙ্করের ফাঁকি। উৎসব ছুটি শ্রমিকরা পান ঠিকই কিন্তু কিভাবে পান সেটা এখানে বিবেচ্য। ঈদের ছুটি যদি সরকারিভাবে তিন দিনের ঘোষণা থাকে, সেখানে মালিকরা দেন কখনো নয় দিন কখনো ১০ বা ১১ দিন। বেশ একটা বাহাবাও পান তারা এর জন্য। কিন্তু কিভাবে শ্রমিক জীবনের বিনিময়ে এর মূল্য দিচ্ছে সেটা হয়তো চোখে পড়ে না আমাদের। ঘটনাটা ঘটে কিভাবে শুনুন- প্রায় ঈদে লম্বা ছুটি কাটিয়ে ফিরে শ্রমিকরা বিরামহীনভাবে লম্বা সময় সাপ্তাহিক ছুটির শুক্রবার দিন জেনারেল ডিউটি হিসাবে খেটে দিতে বাধ্য হন। ফলে শুক্রবারে ছুটির দিন জেনারেল ডে হিসাবে কাজ করায় শ্রমিক কোন ওভার টাইম পায় না। অথচ ওই বাড়তি ছুটি মালিকের ইচ্ছায়ই হয়। ওই ছুটিগুলো যদি বাৎসরিক বা আর্নলিভের সঙ্গেও কাটাকাটি করা হতো তাহলেও শ্রমিক কিছুটা আর্থিকভাবে উপকৃত হতো। প্রকৃতার্থে মালিকরা পুরো আয়োজনে সমাজের কাছ থেকে বাহাবা কুড়ান এবং নিজেদের আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পান । অন্যদিকে শ্রমিকরা বাড়ি গিয়ে কিছুটা বিশ্রাম সেরে কাজে ফিরেন ঠিকই। কিন্তু এরপরই তাকে করতে হয় একটানা ছুটিহীন অমানবিক পরিশ্রম। যেটি অস্বাস্থ্যকর। ঘটনাটা অনেকটা- “টানা সাত দিন পেট পুরে পোলাও কোর্মা খাও আর বাকি দিন না খেয়ে থাকো।’’ ফলে লম্বা ছুটির পর নিয়মিত বেশিরভাগ সাপ্তাহিক ছুটি না পাওয়ায় তারা শারীরিক-মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ এবং রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। একইসাথে কমে আসে শ্রমিকের জীবনের আয়ু ও কর্মক্ষমতা। ক্লান্তিকর কাজের চাপে বেশিরভাগ শ্রমিক মাতৃত্ব ছুটিও ভোগ করতে পারেন না।

আজকাল প্রায় দেখা যায় কোনো উৎসব ছুটির মাঝে যদি এক দিন খোলা থাকে তাহলেও কোনো কোনো কারখানায় টানা তিনদিন ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ওই বাড়তি একদিন আবার অন্য কোন শুক্রবারে জেনারেল ডে হিসেবে খাটিয়ে নেওয়া হয়। যেমন এ বছর ১২ এপ্রিল ছিল শুক্রবার ১৪ এপ্রিল রবিবার পহেলা বৈশাখ। মাঝখানে ১৩ এপ্রিল রবিবার। কিছু কিছু কারখানায় তিন দিন ছুটি দিয়ে দেয়। বেশিরভাগ শ্রমিক তখন আবারও গ্রামের বাড়িতে চলে যাবার চেষ্টা করেন। ফলে বিরামহীন পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গে তার সহকর্মী বা আর কোনো কারখানার শ্রমিকের সাথে তার যোগাযোগ তৈরি হয় না। সুযোগও থাকে না সংগঠিত হবার। 

বছর কয়েক আগে আমরা দেখেছি একেক শ্রমিক এলাকায় একেকদিন ছুটি দেওয়া হতো। যদি মিরপুরের শ্রমিক এলাকায় বৃহস্পতিবার ছুটি তো বাড্ডায় বুধবার। আশুলিয়ায় গাজীপুরে শুক্রবার তো অন্যত্র অন্য কোনো বার। এভাবে এক এলাকার শ্রমিকরা আরেক এলাকার শ্রমিকদের সঙ্গে মিলিত হতে পরত না। আন্দোলন যাতে সব অঞ্চলে না ছড়ায় এটি ছিল তারই কৌশল। কিন্তু এতে নিজ এলাকায় কাজের পরে মিলিত হওয়া বন্ধ হয়নি। নিজ এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ, কারখানার অভ্যন্তরে অনিয়ম নিয়ে পরস্পরের আলোচনা বন্ধ করতে এল এক নতুন কৌশল। এখন শুক্রবারে সব এলাকায় ছুটি থাকলেও ছুটির দিন জেনারেল খাটানোর প্রবণতাই বেশি লক্ষ্য করা যায়। ফলে বছরের অনেকগুলো শুক্রবারে শ্রমিকরা ছুটিই ভোগ করতে পারে না।

পুরো ছুটির আয়োজন আপাতত নিরীহ বা মানবিক মনে হলেও এর মাঝে রয়েছে নির্দয় ব্যবস্থার চিত্র। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বা আরাম আয়েশ বিবচনায় নয় বরং মালিকদের স্বার্থই এর ব্যবস্থার মুল চালক। শ্রমিকরা যাতে সস্তায় বেশি সময় কাজ করে, বেশি মুনাফার ব্যবস্থা করে এবং অসংগঠিত অবস্থায় ক্লান্তিতে বুদ হয়ে থাকে তারই আয়োজন। পাশাপাশি লম্বা ছুটির লোভের ফাঁদে তাদের বিভক্ত করা, বিচ্ছিন্ন করা হলো এই উৎসব ছুটি লম্বা করার অন্যতম লক্ষ্য।

এই ছুটি আর শ্রম ঘণ্টার অব্যবস্থাপনা যতটা ঘায়েল করছে শ্রমিককে তাতেই বোঝা যায় হামলা-নির্যাতন-গ্রেপ্তার- শিল্প পুলিশসহ আর সব নজরদারির রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আরও কত কঠোর হয়ে চেপে থাকে শ্রমিকের ওপর। আপাত দৃষ্টিতে এইসব তৎপরতায় মালিকরা উপকৃত হচ্ছে মনে হলেও আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমিক এবং উৎপাদনশীলতা। যার চেহারা আমরা দ্বিতীয় প্রজন্মের শ্রমিকদের আরও ‘ফর্সা’ কিংবা ফ্যাকাসে মুখে দেখি। আরও দেখি, ৪০ বছরের এই খাতে দ্বিতীয় প্রজন্মের মালিক শ্রেণির সরকারের সহায়তায় অধিক লাভ ও আন্দোলন দমনে নতুন নতুন ফন্দি। এতসবে শেষতক বিপর্যস্ত হচ্ছে এই খাতই। এই বিরামহীন পরিশ্রম, আর্থিক অসঙ্গতি, চিন্তা ও সংগঠন করার সুযোগ না পাওয়ায় আদতে আমরা সামগ্রিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হই। তাই শ্রমিক-শিল্প ও দেশের স্বার্থেই ৪৪ লাখ তরুণের প্রাণ-পুষ্টি বিষয়ে সরকার এবং মালিকপক্ষের সুনজর দিতে হবে। তাতে উপকৃত হব আমরা সবাই। শ্রম ঘণ্টা কমানো বা ছুটির ফাঁদ থেকে পরিত্রাণ এমনি এমনি শ্রমিকরা পাবেন না জানা কথা। ১৩৩ বছর আগে শ্রমিক আন্দোলনই আট ঘণ্টা শ্রমের নিশ্চয়তা বিধান করে মে দিবসের পথ সৃষ্টি করেছে। উন্নত দেশে শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কাজ সপ্তাহে দুদিন ছুটি কাটান। সেইসব দিক আমাদের শিল্প বিকাশের জন্য সরকার ও মালিকের নজরে নিতে হবে এখন। কিন্তু শ্রমিকদের আন্দোলন জারি না থাকলে মালিক বা সরকার কোনো পক্ষই এই দাবির প্রতি কর্ণপাত করবে না। তাই ঐক্যবদ্ধ প্রকৃত ট্রেড ইউনিয়নের মধ্য দিয়েই এই প্রশ্নকে জরুরি হিসেবে সামনে আনতে হবে।

(১লা মে ০১, ২০১৯ তারিখে দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত)

তাসলিমা আখতার
সভাপ্রধান গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি ও আলোকচিত্রী
[email protected]

তথ্যসূত্র:
১.       গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি: ২০১৮, কী করে বাঁচে শ্রমিক
২.       প্রণব চক্রবর্তী: ২০১৭, বাংলাদেশের শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫: ল’বুক প্যাভিলিয়ন
৩.      শ্রমিকদের জন্য আইন সহায়িকা: ব্লাস্ট
৪.       Taslima Akhter: 2016, May day and the Politic of `Made in Bangladesh’ Daily star
৫.       George Vair: The Origins of May day: http://www.wfhathewaylabourexhibitcentre.ca/labour-history/the-origins-o…
৬.       Hour One: Industrial Workers of the world: https://www.iww.org/node/760
৭.       Eight Hours: http://www.contemplator.com/america/eighthour.html
৮.      https://www.educarebangla.com/2016/02/Service-vaccation-leave-rules.html
৯.       8 hours: Encyclopedia:  https://www.encyclopedia.com/history/encyclopedias-almanacs-transcripts-…